প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েও ছাড়লেন একই জেলার ৬২২ জন! কিন্তু কেন?

প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েও ছাড়লেন একই জেলার ৬২২ জন! কিন্তু কেন?

প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার আশায় বছরের পর বছর আন্দোলন, মামলা করেছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীরা। তবে সম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ সালের প্যানেলভুক্ত ৬২২ জন যোগ্য চাকরিপ্রার্থী হাতে নিয়োগপত্র পেয়েও চাকরিতে যোগ দেননি। যাতে অবাক অনেকে। জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫০৬ জন যোগ্য প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হয় গত বছর নভেম্বরে। তবে তাঁদের মধ্যে থেকে ৬২২ জন প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র পেয়েও কাজে যোগ দেননি বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল হয়েছিল একাধিক অনিয়মের অভিযোগে। সেই বছরে যে সকল চাকরিপ্রার্থীরা ভাইভার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদের ২০১৪ সালে ফের একবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের প্রায় আট হাজারের মতো চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল সেবারে। ২০১৫ সালে মে মাসে তাঁদের ভাইভা নেওয়া হয়েছিল। এবার রাজ্য শিক্ষা দফতরে চূড়ান্ত প্যানেল জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে এরপরও বারংবার এই নিয়ে মামলা হয়। যার জেরে শেষমেশ প্রকাশ করা যায়নি ২০১৫ সালে তৈরি তালিকা।

পরে আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালের চূড়ান্ত প্যানেল। পরে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাঠানো হয়েছিল নিয়োগপত্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় ১৫০৬ জনকে। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে ৬২২ জন প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র পেয়েও যোগ দেননি। কিন্তু কেন এমনটা হল? মনে করা হচ্ছে, এত দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে করতে অন্য কোথাও চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন এই ৬২২ জন। তাই আর প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েও চাকরিতে যোগ দেননি তাঁরা। এই আবহে আরও প্রশ্ন উঠেছে, এই শূন্যপদগুলির কী হবে? জানা যাচ্ছে, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের থেকে ক্রমতালিকা অনুযায়ী প্রার্থীদের নিয়োগ করা হতে পারে চাকরিতে। তবে তা করা যাবে কি না, তা নির্ভর করবে আদালতের নির্দেশের ওপর।

(Feed Source: hindustantimes.com)