জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে ইংল্যান্ড ম্যাচ রোহিতের কেরিয়ারের একশোতম। ৩৬ বছরের রোহিত সপ্তম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে টেস্ট ও সীমিত ওভারের ক্রিকেট – দুই ফর্ম্যাটেই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিলেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, বিরাট কোহলি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, কপিল দেব ও রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে একই বন্ধনীতে রয়েছে রোহিতের নামও। তবে ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে সাফল্যের শতকরা হার সবচেয়ে বেশি রোহিতের। ৯৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৭৩টিতে জিতেছেন রোহিত। জয়ের শতকরা হার ৭৩.৭৩ শতাংশ।
ধর্মশালায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচ ছিল অধিনায়ক রোহিতের অভিষেকের মঞ্চ। সেই ম্যাচে মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে পরের ম্যাচেই অপরাজিত ২০৮ রানের ইনিংস খেলেন। ওয়ান ডে ক্রিকেটে তাঁর তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির তৃতীয় সেটি। বীরেন্দ্র সহবাগের পর ভারতের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসাবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করার নজির রয়েছে রোহিতেরই। ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসাবে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করেন রোহিত। প্রতিপক্ষ? সেই শ্রীলঙ্কা।
তিন ধরনের ফর্ম্যাট মিলিয়ে অধিনায়ক রোহিতের সংগ্রহ ৩৯১৮ রান। অধিনায়ক থাকাকালীন করেছেন ৮টি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফসেঞ্চুরি। অধিনায়ক হিসাবে তিন ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত। অধিনায়ক হিসাবে যিনি ১৮৭টি ছয় মেরেছেন। তালিকায় তাঁর ঠিক ওপরে, দুই নম্বরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। যিনি ২১১টি ছক্কা মেরেছেন। শীর্ষে ইংল্যান্ডের অইন মর্গ্যান। ২৩৩টি ছয় মেরেছেন এক সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলে যাওয়া মর্গ্যান। যাঁর নেতৃত্বে ২০১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড।
অধিনায়ক রোহিতের সাফল্যের ঝুলিতে রয়েছে দুটি এশিয়া কাপ। ২০১৮ ও ২০২৩ সালে তাঁর নেতৃত্বেই এশিয়া সেরা হয় ভারত। ২০১৮ সালে রোহিত অধিনায়ক হিসাবে জেতেন নিদাহাস ট্রফি। রোহিতের নেতৃত্বে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও খেলে ভারত। যদিও সেই ম্যাচে হেরে যায়। তবে রোহিতের হাতে এখনও ওঠেনি কোনও আইসিসি ট্রফি। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছিল ভারত। এবার কি সেই অপেক্ষার অবসান হবে?
(Feed Source: abplive.com)