থানায় ডেকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ

থানায় ডেকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ
কলকাতা: ফের খাস কলকাতার থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ। এবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার (Amherst Street Police Station) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। নিহতের পরিবারের দাবি, চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। সেই অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে। (Kolkata News)

মৃতের নাম অশোক সিংহ বলে জানা গিয়েছে। বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। এই ঘটনায় বুধবার সন্ধেয় ক্ষোভ আছড়ে পরে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার বিরুদ্ধে। এদিন কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করেন মৃতের পরিবার এবং পরিজনরা। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ উগরে দেন সকলে। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেতা সজল ঘোষও।

যদিও পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আমহার্স্ট থানার পুলিশ। তাদের দাবি, চুরির মোবাইল ফোন কেনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অশোক। কোনও মারধর করা হয়নি। পরিবারের অভিযোগ একেবারেই সত্য নয় বলে জানিয়েছে তারা। কিন্তু পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ মৃতের পরিবারের লোকজন।

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি একটি মোবাইল ফোন কেনেন অশোক। সেটি চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন ছিল। ওই ফোন নিয়ে তাঁকে বিকেল ৫টা নাগাদ থানায় আসতে বলা হয়। পরিবারের এক মহিলা সদস্যকে নিয়ে সেই মতো এদিন থানায় যান অশোক। ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা থাকায় থানার ভিতরে ঢোকেননি তিনি। কিন্তু কিছু ক্ষণ পর বাড়ির লোকজন এসে দেখেন, থানার মেঝেয় পড়ে রয়েছেন অশোক। তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। এর পর পুলিশের তরফেই অশোককে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অশোককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

এর পরই বিক্ষোভ এবং অবরোধে শামিল হন মৃতের পরিবার ও পরিজনরা। তাঁদের দাবি, থানায় ঢোকার আগে পর্যন্ত দিব্যি সুস্থ ছিলেন অশোক। ভিতরে ঢুকে কী করে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তিনি? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পুলিশের উপর এর পর আর ভরসা করা সম্ভব নয়। গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এদিন কথা বলতে যায় পুলিশের একটি দল। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এর পর বিক্ষোভস্থলে পৌঁছে যান সজল। তিনি বলেন, “পুলিশ খুন করেছে বলে মনে হচ্ছে। আগে চোরের অভিযোগ দিচ্ছে। পুলিশের কাছে কোনও এফআইআর আছে? তাহলে কেন চোর বলা হচ্ছে। ফোন করলে চোর কখনও থানায় আসে? এমন ভাবে মেরেছে, হতে পারে বেকায়দায় মরে গিয়েছে। কিন্তু মারবে কেন? এই ওসি এবং ডিউটিতে থাকা পুলিশদের ক্লোজ করতে হবে। রাজ্য বা কলকাতা পুলিশকে ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া যাবে না। কম্যান্ড হাসপাতাল বা রেল হাসপাতালের মতো নিরপেক্ষ জায়গায় করতে হবে।” ডিসি সেন্ট্রাল জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত হবে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(Feed Source: abplive.com)