প্রসেনজিতের জগন্নাথ দর্শন, শহর ছেড়ে কোথায় গেলেন অনুপম? বিনোদনের সারাদিন

প্রসেনজিতের জগন্নাথ দর্শন, শহর ছেড়ে কোথায় গেলেন অনুপম? বিনোদনের সারাদিন

কলকাতা: শ্যুটিং শেষে, পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ দর্শনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার করে নিলেন ‘টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি’। আপাতত নতুন শ্যুটিংয়ের কারণে পুরীতে রয়েছেন তিনি। ‘জলসা’-র অন্দরে যে বনিবনা নেই… এই খবর ঘুরছে হাওয়ায়। শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন সমস্যার কারণেই নাকি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকছেন ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন (Aishwariya Rai Bacchan)। আর এবার সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে মুখ খুললেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bacchan)। সম্প্রতি মেয়ে শ্বেতাকে নিজের বাংলো ‘প্রতীক্ষা’ লিখে দিয়েছিলেন অমিতাভ। আর ছেলে অভিষেক বচ্চনকে (Abhishek Bacchan) কী দিলেন তিনি? দিনভর বিনোদন দুনিয়ায় নজর কাড়ল কোন কোন খবর? দেখে নেওয়া যাক বিনোদনের সারাদিন

৩০ নভেম্বর জিৎ-এর বাড়ির সামনে জনজোয়ার, অনুরাগীদের মনে পড়ল শাহরুখের জন্মদিনে ‘মন্নত’-এর ছবি!

বাড়ির সামনে ভিড় করেছেন কয়েকশো অনুরাগী… তৈরি করা হয়েছে ফুলের গেট, তাতে লেখা শুভেচ্ছা। সেলফির আবদার আর পোস্টার, উচ্ছ্বাসের মধ্যেই জন্মদিন উদযাপন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ (Jeet)-এর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার করে নিলেন অভিনেতা। আর সেই ছবি যেন মনে করিয়ে দিল মন্নতের বাইরের ভিড়ের ছবিটা। ৩০ নভেম্বর ছিল জিৎ-এর জন্মদিন। সেইদিন অভিনেতার অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার অনুরাগীরা। কারও হাতে জিতের ছবি আঁকা পোস্টার, কারও হাতে ফুল-বেলুন, কারও ফোনে আবার মুহূর্ত বন্দি করার জন্য মুঠোফোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন জিৎ স্বয়ং। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘প্রত্যেককে অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা আমায় জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে আমার বাড়িতে এসেছিলেন আমায় শুভেচ্ছা জানানোর জন্য, তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। আমার ভীষণ ভাল লেগেছে। এই ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ।’ জিতের বাড়ির সামনেই এই ভিড় মনে করিয়ে দিল শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) জন্মদিনে তাঁর মন্নতের সামনের ছবিটা। তাঁর জন্মদিনে হাজার হাজার অনুরাগী ভিড় জমান মন্নতের সামনে। শাহরুখের একটা ঝলক দেখার জন্য। এদিন জিতের বাড়ির সামনের এই ভিড় দেখে অনেকেই বলছেন, জিৎ যেন টলিউডের শাহরুখ।

ঐশ্বর্য্যর প্রিয় বাংলো লিখে দিয়েছেন মেয়েকে, সম্পত্তির ভাগাভাগিতে অভিষেককে কী দিলেন অমিতাভ?

‘জলসা’-র অন্দরে যে বনিবনা নেই… এই খবর ঘুরছে হাওয়ায়। শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন সমস্যার কারণেই নাকি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকছেন ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন (Aishwariya Rai Bacchan)। আর এবার সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে মুখ খুললেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bacchan)। সম্প্রতি মেয়ে শ্বেতাকে নিজের বাংলো ‘প্রতীক্ষা’ লিখে দিয়েছিলেন অমিতাভ। আর ছেলে অভিষেক বচ্চনকে (Abhishek Bacchan) কী দিলেন তিনি? অমিতাভ বচ্চনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০০ কোটিরও বেশি। সম্প্রতি একটি টক শো-তে অমিতাভ নিজের মুখেই স্বীকার করেছিলেন, সম্পত্তি দেওয়ার সময় ছেলে ও মেয়ের মধ্যে তিনি কোনোরকম বিভেদ করতে চান না। শ্বেতা ও অভিষেককে সমানভাবেই সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চান তিনি। সেই মতো, অমিতাভের সম্পত্তি থেকে শ্বেতার ভাগে পড়ে আনুমানিক ১৬০০ কোটির সম্পত্তি। অভিষেক বচ্চনের সম্পত্তি ছিল ২৮০ কোটি। সম্পত্তি ভাগ বাঁটোয়ারার পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৬০ কোটি। অন্যদিকে, জুহুর বাংলো উপহারে পাওয়ার পরে, শ্বেতার সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯০ কোটি। আগে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১১০ কোটি। এবার আসা যাক, ঐশ্বর্য্যের সম্পত্তির হিসেবে। বচ্চন বধূর সম্পত্তি ছিল ননদ শ্বেতার থেকে ৫৯০ শতাংশ বেশি। তবে জুহুর বাংলো উপহার পাওয়ার পরে, শ্বেতার সম্পত্তি ঐশ্বর্য্যের থেকে ১০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেল। প্রসঙ্গত, অমিতাভ যে বাংলো আদরের মেয়ে শ্বেতার নামে লিখে দিয়েছেন, সেই বাংলো পছন্দ ছিল ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চনের। জুহুর বাংলো ‘প্রতীক্ষা’ ছিল অমিতাভের প্রথম সম্পত্তি। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে, নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে এখানে থাকতেন অমিতাভ। কাজেই এই বাংলো মহামূল্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি বিজড়িতও বটে। কিন্তু এই বাংলার মালিক এখন শ্বেতা, ঐশ্বর্য্য নন। শ্বেতার সম্পত্তির খতিয়ান সামনে এলেও, অভিষেকের ভাগে অমিতাভের সম্পত্তির ঠিক কী কী ভাগ পড়েছে, তা খোলসা করা হয়নি বচ্চন পরিবারের তরফে।

হঠাৎ পুরীর জগন্নাথ দর্শনে প্রসেনজিৎ, কোন ছবির শ্যুটিং করছিলেন তিনি?

শ্যুটিং শেষে, পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ দর্শনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার করে নিলেন ‘টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি’। আপাতত নতুন শ্যুটিংয়ের কারণে পুরীতে রয়েছেন তিনি। বয়স ৬০ পেরোলেও, এখনও টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক তিনি। টলিউড থেকে শুরু করে বলিউড.. সব জায়গাতেই নিজের সাক্ষর রেখেছেন ‘বুম্বাদা’। পুজোর সময় মুক্তি পাওয়া ছবি ‘দশম অবতার’ টলিউডে উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করেছে। আগামীতে শুভ্রজিৎ মিত্রর নতুন ছবি ‘দেবী চৌধুরানী’ (Devi Chowdhurani)-তে ভবানী পাঠকের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু তার আগেই, এখন এক অন্য ছবির কাজে ব্যস্ত প্রসেনজিৎ। সূত্রের খবর, ‘কাবেরী অন্তর্ধান’-এর পরে ফের কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kaushik Ganguly) নতুন ছবিতে কাজ করছেন প্রসেনজিৎ। আর এই ছবিতে তিনি জুটি বাঁধছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta) সঙ্গে। এটিই জুটির ৫০তম ছবি হতে চলেছে। তবে এই ছবি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা করা হয়নি কৌশিক, প্রসেনজিৎ বা ঋতুপর্ণার তরফে। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এর আগে আজই প্রসেনজিৎ জানিয়েছিলেন, তাঁদের পুরীর শ্যুটিংয়ের শিডিউল শেষ হয়ে গিয়েছে।

৮১ বছর বয়সে নতুন ভাষা শিখছেন অমিতাভ বচ্চন, শিক্ষক এক খুদে!

এই শো-এ শুরু হয় নিয়মিত তৈরি হয় নতুন নতুন গল্প। কারণ, এই শো-এর সঞ্চালক যিনি, তাঁর যেন বয়স বাড়ে না কখনও। সদ্য, এই শো-তে এসে, অমিতাভ বচ্চনকে (Amitabh Bacchan) নতুন ভাষা শেখাল এক খুদে! সদ্য অমিতাভের শো-এর প্রতিযোগী হয়ে, হট সিটে বসতে এসেছিলেন গুজরাতের এক খুদে। নাম, প্রতিষ্ঠা শেট্টি (Pratishta Shetty)। ভাপির এই ছোট্ট মেয়ে আর তাঁর বাবার কথোকপকথনের থেকে নতুন ভাষা শিখলেন অমিতাভ! শো শুরু হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠার বাবা কন্যার উদ্দেশে বলেন, ‘অল দ্য বেস্ট কুদ্রে’ (All the best, ‘kudre’)। এই কথা শুনেই অমিতাভ জানতে চান, কুদ্রে কথার অর্থ কী? ছোট্ট প্রতিষ্ঠা পাল্টা প্রশ্ন করে বসে ‘বিগ বি’-কে। আন্দাজ করতে বলে এই শব্দের অর্থ কী? একটু ভেবে অমিতাভ প্রতিষ্ঠার বাবাকে প্রশ্ন করেন, ‘এটা কী ওর ডাক নাম?’ প্রতিযোগীর বাবা জানান, কন্নড় ভাষায় কুদ্রে কথার অর্থ ঘোড়া। অভিনেতা তখন প্রশ্ন করেন, প্রতিষ্ঠার ডাকনাম কী? প্রতিষ্ঠার বাবা জানান, তাকে বাড়িতে কুদ্রে বা কাত্থে বলে ডাকা হয়। কুদ্রে কথার অর্থ ঘোড়া ও কাত্থে কথার অর্থ গাধা। এর কারণ, প্রতিষ্ঠা নাকি সবসময় বাড়িতে দৌড়ে বেড়ায়। এটা শুনে অমিতাভ বলেন, এটা টুলু ভাষা তাই না? প্রতিষ্ঠা তখন জানায়, তার মা টুলু বলে। অমিতাভ তখন বলেন, তিনি আজ বাড়ি গিয়ে ঐশ্বর্য্য (Aishwariya Rai Bacchan) ও নাতনি আরাধ্যাকে বলবেন, তিনি টুলু ভাষার অন্তত ২টো শব্দ শিখেছেন। অমিতাভ আরও জানান, ঐশ্বর্য্য এই ভাষা জানলেও, তিনি একেবারেই জানেন না বা বলতে পারেন না। তবে তিনি আজ দুটো শব্দ শিখেছেন।  এরপরে অমিতাভ প্রশ্ন করেন, প্রতিষ্ঠার ডাকনাম কী? জানানো হয়, প্রতিষ্ঠাকে প্রাতি বলে ডাকা হয়। এই নামের প্রশংসা করেন অমিতাভ।

এখনও চর্চায় পরম-পিয়া, কী করছেন অনুপম?

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) ও পিয়া চক্রবর্তীর (Piya Chakraborty)-র বিয়ের প্রসঙ্গতে মানুষ বারে বারে জড়িয়ে ফেলেছে তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনও সমবেদনার বন্যা, কখনও কটাক্ষ.. অনুপম রায়ের (Anupam Roy) সঙ্গী হয়েছে সবকিছুই। কিন্তু এই সমস্ত কিছু কি আদৌ চেয়েছিলেন তিনি? সংবাদমাধ্যমের কাছে বারে বারে বিরত থেকেছেন প্রতিক্রিয়া দিতে, মন্তব্য করেননি সোশ্যাল মিডিয়াতেও। আজ, ‘প্রাক্তন’-এর নতুন জীবন শুরুর পরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম পোস্ট করলেন তিনি। সমুদ্রের ধারে, বাবা-মায়ের সঙ্গে। ঘুরতে গিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী আর সেখান থেকেই এই পোস্ট। পর্দায় প্লে-ব্যাকের পাশাপাশি, অনুপমের নিজস্ব অ্যালবামও ভীষণ জনপ্রিয়। পুজোর সময় মুক্তি পাওয়া ছবি ‘দশম অবতার’-এ তাঁর গান ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছে। পুজোর রেশ কাটলেও দর্শকদের মুখে মুখে ফিরছে ‘বাউন্ডুলে ঘুড়ি’ বা ‘আমি সেই মানুষটা আর নেই’। পুজোর সময় বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। আর সেখান থেকে ফিরে এসেই পুরোদমে শো শুরু করেছেন তিনি। তবে সেই সমস্ত ব্যস্ততা থেকে সামান্য বিরতি নিয়েই বাবা-মাকে নিয়ে ভাইজ্যাক ঘুরতে গিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ারও করে নিয়েছেন অনুপম। সমুদ্রের ধারে, পড়ন্ত রোদে, বালি আর জলে পা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে অনুপম, সঙ্গে বাবা-মা। মায়ের কাঁধে হাত দিয়ে রয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী। ক্য়াপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সমুদ্রের সঙ্গে কিছু কথা।’ অনুপমের সদ্য পোস্ট করা ছবিতে কমেন্টের বন্যা। কেউ তাঁকে সান্তনা দিয়েছেন, কেউ আবার বলেছেন, বাবা-মায়ের ভালবাসা অকৃত্রিম। অনেকেই শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর আগামী জীবন ও কাজের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন মন্তব্য… এই সমস্ত কিছুর থেকে দূরে থাকতেই কী ইট-কাঠ পাথরের শহর থেকে সাময়িক ছুটি নিলেন অনুপম? সেই উত্তর অবশ্য জানেন একমাত্র গায়কেই।

(Feed Source: abplive.com)