১। পড়ুয়ার বাবা: মাস্টারমশাই, আপনার কী মনে হয়, আমার ছেলে বড় হয়ে কী হবে?
মাস্টারমশাই: মনে হয় মহাকাশচারী হবে।
পড়ুয়ার বাবা: কেন? এত কিছু থাকতে ও মহাকাশচারী হতে যাবে কেন?
মাস্টারমশাই: বারবার বুঝিয়ে দেওয়ার পরও যখন পড়া জিজ্ঞেস করি, তখন দেখলে মনে হয় ও যেন আকাশ থেকে পড়ল। ওটাই ওর জায়গা।
২। অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, ‘আজ আমার মনটা বেশ ভালো। বলো, তোমাদের কী দাবিদাওয়া। আজ সব শুনব।’
এক কর্মচারী বললেন, ‘স্যর, আমরা ছুটি খুবই কম পাই। ছুটি একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় না?’
বস: কী রকম ছুটি চাও, বলো?
কর্মচারী: ছয় মাসের ছুটি, বছরে দু’বার!
৩। শিক্ষক: হাবলু, এবারও কিন্তু তোকে পরীক্ষায় প্রথম হতেই হবে।
হাবলু: চেষ্টা করব, স্যর। প্রশ্ন তো স্যর, এবারও আগের ছাপাখানাতেই ছাপতে দেবেন, তাই না?
শিক্ষক: এ কথা বলছিস কেন? তোর বাবা নির্ঘাত তোকে প্রশ্ন দেখান।
হাবলু: না, স্যর, বাবা প্রশ্ন দেখান না। তবে বাবার চোখের সমস্যা তো, তাই বাবার ছাপাখানার প্রুফটা আমিই দেখে দিই।
৪। মন্টু একটি জাদুঘরে দর্শনার্থীদের গাইডের চাকরি পেয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো, দর্শনার্থীদের সবকিছু চিনিয়ে দেবে কী, বেচারা নিজেই অনেক কিছু চেনে না!
একবার বিদেশি কিছু দর্শনার্থী এল। দর্শনার্থীদের জাদুঘর ঘুরে দেখাতে দেখাতে মন্টু একসময় হাজির হলো একটি কঙ্কালের সামনে। হাসিমুখে মন্টু বলল, ‘এই যে কঙ্কালটা দেখছেন, এটা সম্রাট অরহরের! জিঞ্জিরাবাজার যুদ্ধে তিনি শহীদ হন!’ এক দর্শনার্থী পায়ে পায়ে গিয়ে দাঁড়ালেন অন্য একটা ছোট কঙ্কালের সামনে। মন্টুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কার কঙ্কাল?’
মন্টু বলল, ‘এটাও সম্রাট অরহরের কঙ্কাল। তবে এ সময় তিনি ছোট ছিলেন!’
৫। স্বামী একটু ভুলো মনের। তিনি একটি ছোট ছেলেকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। স্ত্রী বললেন— কী হয়েছে?
স্বামী: এতটুকু ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে, বড় মায়া হল, তাই কোলে করে নিয়ে এলাম।
স্ত্রী: তুমি কি চোখের মাথা খেয়েছ? নিজের ছেলেকে চিনতে পারছ না।
(Feed Source: hindustantimes.com)