রবিবার দুপুরে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা। সেখানেই লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় মুখ খোলেন। মমতা বলেন, “নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও নিরাপত্ত লঙ্ঘনের বিষয়টি মেনে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হোক। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আপসের প্রশ্ন নেই। নতুন সংসদভবনের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
মহিশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিনহা তাণ্ডবকারীদের পাস ইস্যু করেছিলেন। সেকথা মেনেও নিয়েছেন তিনি। বিরোধীদের তরফে প্রতাপকে বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়েে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। সংসদে প্রশ্নোত্তর জমা দেওয়ার পোর্টালের লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড শেয়ার করায় মহুয়াকে যদি বহিষ্কার করা হয়, তাহলে প্রতাপের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হবে না কেন, উঠছে প্রশ্ন।
সেই নিয়ে মতামত জানতে চাইলে মমতা বলেন, “আমাদের সাংসদরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন সংসদে। যে কারণে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। কংগ্রেস এবং ডিএমকে সাংসদদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে।” লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনার মূলচক্রী ললিত ঝা কলকাতায় ছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁর এই কলকাতা যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিজেপি। বাংলা থেকে উৎসাহ নিয়ে গোটা দেশে উগ্রপন্থা ছড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি করছেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারা।
কিন্তু মমতার বক্তব্য, “ওরা বলছে তো কী? বাংলার কোনও লেনদেন নেই এর সঙ্গে। যাঁরা তদন্ত করছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক চাই আমরা। তাই কোনও উল্টোপাল্টা মন্তব্য করি না আমরা। আবোলতাবোল বকি না আমরা। যেটা বলব, দায়িত্ব নিয়ে বলব। আগে দায়িত্বশীল হই আমরা। বাংলাকে নিয়ে অপপ্রচার, বাংলাকে নিয়ে কুৎসা করা এদের সারা ক্ষণের কাজ। বাংলা কোনও অপরাধমূলক কাজকে প্রশ্রয় দেয় না।” বকেয়া টাকার দাবি জানাতেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
(Feed Source: abplive.com)