ঘরে আছে আরও দুই মেয়ে। তারপর কোলে এল আরেক মেয়ে। তার আবার ঠোঁটের উপরের অংশ কাটা। সে ভালভাবে খেতে পারে না মায়ের বুকের দুধও। আর তাই নিয়েই গরির রাজমিস্ত্রির পরিবারে তীব্র অশান্তি। একে দুই মেয়ের পর আরও এক মেয়ে, তাও আবার ঠোঁট কাটা, তাই বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েকে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়ার। যেমন ভাবা , তেমন কাজ। দুই মাসের কন্যাসন্তানকে ঝুমি নদীতে ফেলে দিল বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাল থানার অন্তর্গত মনসুকা দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে রামচক গ্রামে। গত মঙ্গলবার ওই গ্রামের এক ব্যাক্তি তার তৃতীয় কন্যা সন্তানকে ঝুমি নদীর জলে ফেলে দেয়। তারপর মঙ্গল পেরিয়ে শুক্র। জানাজানি হত না, যদি না আইসিডিএস কর্মীরা খোকন হাজরার বাড়িতে হাজির হতেন ওই শিশুকে দেখতে । সেখানে গিয়ে দু-মাসের কন্যাসন্তানকে দেখতে চান তাঁরা। শিশুর খোঁজ না পেয়ে তৎক্ষণাৎ আইসিডিএস কর্মীরা গ্রাম পঞ্চাতের প্রধান কে জানান। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
গ্রামীন পুলিশ খবর দেয় ঘাটাল থানায় । কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘাটাল থানার ওসি শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় পৌঁছান ওই এলাকায়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে আটক করে ওই শিশুর বাবা ও মাকে। স্থানীয়রাই জানান, পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে শিশুটির বাবা। পুলিশ সূত্রে খবর, বাচ্চার বাবাই আটক হওয়ার পর পুলিশের কাছে জানায়, জন্মের পর থেকেই ঠোঁটের ওপর দিকটি কাটা ছিল শিশুটির। তার ফলে স্তন্যপান করতে পারছিল না সে। সেইসব নিয়ে বাড়িতে নানান রকম অশান্তি শুরু হয়। সেই কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করে সে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রিয়া রায় বলেন, এটি একটি ন্দনীয় ঘটনা এদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক।
(Feed Source: abplive.com)