Exclusive| Pallavi Dey Death Case: দেড় বছর পেরোল, অকালে ঝরে যাওয়া পল্লবী কি বিচার পেলেন?

Exclusive| Pallavi Dey Death Case: দেড় বছর পেরোল, অকালে ঝরে যাওয়া পল্লবী কি বিচার পেলেন?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৫ মে, ২০২২ বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী(TV Actress) পল্লবী দে-র(Pallavi Dey) দেহ। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিনেত্রীর এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তাঁর সহ-অভিনেতা থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা। মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবারও। সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছিলেন, আত্মহত্যা করতে পারেন না পল্লবী। হত্যা ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠে পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। গ্রেফতারও হন সাগ্নিক। পরে অবশ্য জামিন পান তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর কেটে গেছে দেড় বছরেরও বেশি সময়, ন্যায় পেলেন অভিনেত্রী?

সেই সময় জানা গিয়েছিল যে ২০২০ সালের শুরু থেকে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন পল্লবী ও সাগ্নিক। সেই সময় পুলিস সূত্রে জানা যায় যে অভিনেত্রীর মৃত্যুর আগের রাতে আলাদা আলাদা ঘরে ঘুমান তিনি ও তাঁর পার্টনার। সকালে উঠে পল্লবীর লিভইন পার্টনার দেখেন যে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। লক হোল দিয়ে তিনি দেখতে পান, গলায় বেডশিট দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন অভিনেত্রী। সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে, সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় অভিনেত্রীকে। পরে জেরায় সাগ্নিক বলেন যে সকালবেলা তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় আর তারপরে সাগ্নিক বারান্দায় চলে যান আর পল্লবীর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন।

সেই সময় যদিও ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পল্লবীর দেহে কোনও ক্ষতের চিহ্ন নেই। কিন্তু কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল বা তিনি কী কারণে আত্মহত্যা করলেন? সম্পর্কের টানাপোড়েনই কি মৃত্যুর কারণ? গোটাটাই ছিল তদন্ত সাপেক্ষ। জানা যায় যে তদন্তে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে হত্যার কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, তাঁকে নির্দোষ হিসাবে মুক্তি দিয়েছে আদালত। আদালতের মতে, আত্মহত্যাই করেছেন পল্লবী। তবে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে এখনও প্রতারণার মামলা চালাচ্ছেন পল্লবীর বাবা-মা।

সাগ্নিকের বিরুদ্ধে অভিনেত্রীর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তাঁর পরিবারের। অভিযোগ ছিল, ৮০ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন সাগ্নিক। যারমধ্যে ৫৭ লাখ টাকা-ই পল্লবী দিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটের EMI-ও পল্লবী দিতেন। শোনা যায় সাগ্নিকের বিএমডব্লুও আসলে পল্লবীরই কেনা। দুজনের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিটও ছিল, যার নমিনি সাগ্নিক। সেই টাকা পায়নি পল্লবীর পরিবার। জানা যায় এখনও চলছে আইনি লড়াই। ইতোমধ্যেই সাগ্নিক এক প্রস্তাব দেন পল্লবীর বাবা-মাকে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা তুলে নিলে তিনি সম্পত্তি ও ফিক্সড ডিপোজিটের অর্ধেক টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। মেয়েকে ন্যায় দেওয়ানোর জন্য এখনও সাগ্নিকের সেই প্রস্তাব মেনে নিতে পারেননি পল্লবীর মা ও বাবা।

পল্লবীর মৃত্যুর সময়ে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে অন্য নারীসঙ্গেরও অভিযোগ এনেছিল অভিনেত্রীর পরিবার। পল্লবীর বন্ধুদের সূত্রে জানা যায় মৃত্যুর একবছরের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাগ্নিকের সঙ্গে অন্য এক মহিলাকে দেখা যায়। যদিও তাঁর মুখ স্পষ্ট নয়, তবে নেটপাড়ায় দেখা যায় এক নারীর সঙ্গে ২০২৪ সালের শুরুতে সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। কে সেই মহিলা, প্রশ্ন পল্লবীর বন্ধুদেরও।

সাগ্নিকের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছে পল্লবীর ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা। এখনও অভিনেত্রীর বাবা-মাকে আইনিভাবে ও নানা দিক থেকে সাহায্য করছেন অভিনেতা ভরত কল। তাঁর সঙ্গেই শেষ ধারাবাহিক শ্যুট করছিলেন পল্লবী। এখনও ইন্ডাস্ট্রি তাঁর মৃত্যুশোক ভুলে যেতে পারেনি। সম্প্রতি ছিল অভিনেত্রীর জন্মদিন। কেকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন পল্লবীর বন্ধু আনন্দ চৌধুরী। পল্লবীর এভাবে চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারেননা তিনি। তাই তো কেক কাটার মানুষ নেই জেনেও জন্মদিনের কেক নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন পল্লবীর বাড়িতে। ছবিতে জ্বলজ্বল করছেন পল্লবী। এখনও ন্যায়ের আশায় অভিনেত্রীর তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা।

(Feed Source: zeenews.com)