১। পথচারী: এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও। তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছ কেন?
ভিক্ষুক: ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ সে আজ ছুটিতে গিয়েছে। তার জায়গায় আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি বোবা।
২। অফিসে শ্যামলবাবুর প্রথম দিন।
বস: আমাদের অফিসে একটি ব্যাপারে আমরা খুবই গুরুত্ব দিই, তা হল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। তুমি নিশ্চয়ই আমার ঘরে ঢোকার আগে পাপোশে জুতো পাপোশে মুছে ঢুকেছ?
শ্যামলবাবু: অবশ্যই স্যার।
বস: আর একটি ব্যাপারে আমরা আরও বেশি কঠোর। তা হল সততা। দরজার বাইরে কোনও পাপোশ নেই!
৩। পরীক্ষার হল থেকে এক ছেলে স্যারের অনুমতি নিয়ে টয়লেটে গেল। টয়লেটে আগেই একটা বই রাখা ছিল, প্রশ্নের উত্তর বার করে পড়ে আসতে আসতে অনেক ক্ষণ দেরি হয়ে গেল। ফিরে আসতেই স্যার কষে ধমক লাগালেন।
-কী ব্যাপার, টয়লেট থেকে আসতে এতক্ষণ লাগল কেন? আর কেউ যাবে না নাকি?
-না স্যার, ওরা ভালো করেই পড়াশোনা করে এসেছে।
৪। পরিসংখ্যান কতই না বিস্ময়কর কাজের! কীভাবে, জানো? আচ্ছা, শোনো তাহলে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতিবছর কুমিররা চার কোটি ২০ লাখ ডিম পাড়ে। এগুলোর মধ্যে কেবল দুই ভাগের এক ভাগ ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এসব বাচ্চার চার ভাগের তিন ভাগই আবার জন্মের প্রথম ৩৬ দিনে শিকারি প্রাণীর হাতে মারা পড়ে। বাকিগুলোর মধ্যে শতকরা পাঁচ ভাগ কেবল এক বছর বেঁচে থাকে। এবার নিশ্চয়ই স্বীকার করবে, পরিসংখ্যান কতই না বিস্ময়কর!
আরে! এখানে বিস্ময়ের কী আছে?
দূর, তুমি এখনো ব্যাপারটা ধরতে পারোনি। পরিসংখ্যান না থাকলে বুঝতে, কী হতো। তোমার পশ্চাদ্দেশটা এখন কুমিরের ওপরই রাখতে হতো।
৫। – মা পরীরা কি উড়তে পারে ?
– পারে।
– কাল সন্ধ্যায় বাবা ছোটমাসিকে বলছিল, ‘তুমি একটা পরী’। ছোটমাসি তা হলে ওড়ে না কেন?
– উড়বে, আজই, এখনি!
(Feed Source: hindustantimes.com)