‘শীতলকুচিতে মানুষ মেরে এখনও হাতের রক্ত মোছেনি’, দেবাশিসকে প্রার্থী করায় BJP-কে আক্রমণ মমতার

‘শীতলকুচিতে মানুষ মেরে এখনও হাতের রক্ত মোছেনি’, দেবাশিসকে প্রার্থী করায় BJP-কে আক্রমণ মমতার

মাথাভাঙা: প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরকে (Debasish Dhar) প্রার্থী করা নিয়ে এবার বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেবাশিসই দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করলেন তিনি। মমতার অভিযোগ, রাজ্য সরকার এখনও ক্লিনচিট দেয়নি তাঁকে। হাতে রক্ত নিয়েই বিজেপি-র হয়ে বীরভূমে প্রার্থী হয়েছেন দেবাশিস। (Lok Sabha Elections 2024)

বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা করেন মমতা। সেখানেই দেবাশিসের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। মমতা বলেন, “ভুলে গিয়েছেন! নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে লাইনে দাঁড়ানো পাঁচ জনকে গুলি করে মেরেছিল। এর মধ্যে চার জন সংখ্যালঘু এবং একজন রাজবংশী ভাই ছিলেন। নির্বাচন চলাকালীন ছুটে এসেছিলাম। যে লোকটির নির্দেশে এই কাজ হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দু’টি ডিপি চলছে, ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছে। আইনকানুন কিছু মানে না এরা।”

মমতা আরও বলেন, “তিনি আবার বীরভূমে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে, এত মানুষ মেরে এখনও হাতের রক্ত মোছেনি। এখন বলছে, ‘আমি ওখানের এসডিপিও’ ছিলাম। সো হোয়াট? কেউ ওসি, কেউ কনস্টেবল, কেউ সিভিক, কেউ এসপি, কেউ ডিএম হতে পারেন। তাই বলে আমার অধিকার নেই কোনও দলের দালালি করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেব। দু’টো ডিপি আছে, ভিজিল্যান্স মামলা রয়েছে। রাজ্য সরকার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও…আমি জানি না কেন্দ্রের সরকার কোনও আইন, সংবিধান মানে কি না। ওদের একটাই আইন, ওয়ান নেশন অ্যান্ড ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি। নির্বাচন এলেই ভাঁওতা দেওয়া, ছলনা করা, মিথ্যে কথা বলা।”

০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় শীতলকুচির জোড়পাটকি পঞ্চায়েতের ৫/১২৬ নম্বর বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে সিআইএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে, তাতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েক জন যুবকের মৃত্যু হয়।  সেই সময় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কোচবিহারের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন দেবাশিস।

ওই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। জওয়ানদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মৃতদের পরিবারের লোকজন। তদন্তভার ওঠে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি-র হাতে। নির্বাচন মিটতেই এর পর দেবাশিসকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করে সিআইডি। ওই সময়ে দেবাশিসের বহু গুণ সম্পত্তিও বেড়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল সিআইডি। সেই দেবাশিসকেই এবার বীরভূমে প্রার্থী করেছে বিজেপি, যা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এবার মমতাও মুখ খুললেন।

(Feed Source: ndtv.com)