বেঙ্গালুরু: গতকালই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে বাংলা সেমিফাইনালে (Semifinal) যাচ্ছেই, শুধু বাকি ছিল আজকের নিয়মরক্ষার দিনটি। আরও একটু ব্যাটিং অনুশীলন সেরে রাখা। ঠিক সেটাই করলেন বাংলার অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটার মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari)। প্রথম ইনিংসে ফসকে গিয়েছিল অল্পের জন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে সুযোগ নষ্ট করলেন না। হাঁকিয়ে দিলেন রঞ্জিতে(Ranji Trophy) আরও একটা দুরন্ত শতরান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই নিয়ে মোট ২৮টি সেঞ্চুরি হাঁকালেন মনোজ। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড ম্যাচ ড্র করলেও প্রথম ইনিংসে বিশাল লিড রাখার সুবাদে রঞ্জির সেমিতে পৌঁছে গেল বাংলা দল। সেমিতে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে নামবে বাংলা।
তিনি রাজ্যের মন্ত্রী, বিভিন্ন কাজের চাপ থাকে এখন। কিন্তু তার আগেও তিনি একজন ক্রিকেটার। বাংলার জার্সিতে একাধিক স্মরণীয় ইনিংস। জাতীয় দলেও খেলেছেন। যখনই দলের প্রয়োজন হয়েছে, তখনই ব্যাট হাতে নিজের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন মনোজ। এদিন আরও একবার যখন উল্টোদিকে উইকেট পড়ছে, তখন নিজে খেলে দিলেন এক আক্রমণাত্মক ইনিংস। হাঁটুর চোটের পর ২২ গজে ফিরে এসে এর থেকে ভাল কামব্যাক বোধহয় আর কিছু হতে পারে না।
চতুর্থ দিনের শেষে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন মনোজ ও অনুষ্টুপ। দ্বিতীয় জন আগের ইনিংসে শতরান করেছিলেন। এদিন ৩৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অনুষ্টুপ। অভিষেক পোড়েল ৩৪ রান করেন। এরপর শাহবাজকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মনোজ। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রানের গতি যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মনোজ। শেষ পর্যন্ত ১৮৫ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় মনোজকে। নিজের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ১৯টি বাউন্ডারি ও ২টো ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। এরপর শাহবাজ ৪৬ রান করে অনুকূল রায়ের বলে লেগবিফোর হতেই ২ অধিনায়কের সম্মতিতে ম্যাচে ইতি টেনে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার স্কোর তখন ৩১৮/৭।
প্রথম ইনিংসে ৭৭৩/৭ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিল বাংলা। জবাবে ২৯৮ রানে অল আউট হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের ইনিংস। বাংলার হয়ে প্রথম ইনিংসে প্রথম ৯ জন ব্যাটারই অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন, যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড। সুদীপ ঘরামি ১৮৬ রান ও অনুষ্টুপ মজুমদার ১১৭ রানে আউট হন। কেরিয়ারের প্রথম রঞ্জি শতরানের জন্য ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন সুদীপ।