বিধান সরকার: ‘আমি খাওয়ার মধ্যেই আছি’. সম্প্রতি প্রচারে গিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়(Rachna Banerjee) নিজেই বলেছিলেন সেই কথা। কখনও তিনি প্রচারে গিয়ে খাচ্ছেন ঘুগনি তো কখনও আবারও দই। এবার উঠে এল আলু পোস্তর কথা। শনিবার মধ্যাহ্ন ভোজনে গিয়ে হুগলীর (Hooghly) তৃণমূল(TMC) প্রার্থী বলেন, ‘আমি বাঙাল,ঘটি নই, তবু আলু পোস্ত খেতে ভালোবাসি’।
বলাগড়ের একতারপুরের গাজিপাড়া আদিবাসী বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূল প্রার্থীর জন্য শাক,ভাত,শুক্তো,ডাল,পটল ভাজা,আলু পোস্ত,আলু পটলের তরকারি,দই এর ব্যবস্থা হয়েছিল।মাটির থালায় কলাপাতা দিয়ে সাজিয়ে খেতে দেওয়া হয় তাঁকে।মাটির বারান্দায় বসে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন রচনা।
তিনি বলেন,’প্রত্যেকটা আইটেম ভালোবেসে বানিয়েছে খুব ভালো করে খেলাম’।আলু পোস্ত চেয়ে খেয়ে রচনা বলেন,’আমাকে দিতে ভুলে গিয়েছিল।আলু পোস্ত ভালোবাসি।সবই খাই বাঙালি খাবার আর পোস্ত ছাড়া নিরামিষ খাবার অসম্পূর্ণ।যদিও বাঙাল,আমি ঘটি নই তবুও আলুপোস্ত খেতে ভালোবাসি’।মাটির দাওয়ায় বসতে অসুবিধা হয় না কারণ যোগা করেন বলে জানান রচনা।
এদিন আবারও দই খেয়ে বলেন হুগলির দই ভালো।সিঙ্গুর না বলাগড়ের দই এই প্রশ্নে বলেন,’আমি কি একটা জায়গার নাম বলে অন্য জায়াগকে দুঃখ দেবো নাকি’। যার মাটির দাওয়ায় বসে ভাত খান তৃনমূল প্রার্থী সেই ছবি মান্ডি বলেন আমাদের ঘর নেই মাটির ঘরে বাস করছি।রচনা তাকে আশ্বস্ত করে বলেন,সব হয়ে যাবে ঠাকুরের উপর ভরসা রাখো। খাওয়ার দাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার প্রচার শুরু করেন রচনা। এদিন আদিবাসী পাড়ায় আদিবাসী রমনীদের সঙ্গে ধামসার তালে নাচেনও রচনা।
(Feed Source: zeenews.com)