হরলিকস হেলথ ড্রিঙ্ক নয়! জানুন বিস্তারিত

হরলিকস হেলথ ড্রিঙ্ক নয়! জানুন বিস্তারিত

Horlicks Is Not A Health Drink: হেলথ ড্রিঙ্কস ও বেবিফুড নিয়ে একের পর এক কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের হেলথ ড্রিঙ্ক ক্যাটেগরি থেকে বোর্নভিটাসহ নানা এনার্জি ড্রিঙ্ককে সরানোর নির্দেশ দেয়। এবার তার জেরেই হেলথ ড্রিঙ্ক লেবেল তুলে নিল হরলিকস। এতদিন বোর্নভিটার মতো হরলিকসও হেলথ ড্রিঙ্ক বিভাগের আওতায় ছিল।  বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে রাখা ছিল হেলত ড্রিঙ্ক বিভাগে পাওয়া যেত নানা স্বাদের নানা বয়সের জন্য হরলিকস। তবে এবার থেকে আর তা পাওয়া যাবে না। হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের তরফে আর্নিংস প্রেস মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

হেলথ ফুড ড্রিঙ্ক থেকে ফাংশনাল নিউট্রিশনাল ড্রিঙ্ক

হেলথ ফুড ড্রিঙ্ক লেবেল ছিল এতদিন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে সেই লেবেল পাল্টাতে বাধ্য হল হরলিকস। ২৪ এপ্রিল সংস্থার আর্নিংস প্রেস মিটিংয়ে এই ঘোষণা করেন সংস্থার চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার রীতেশ তিওয়ারি। এই শ্রেণি বদল নিয়ে অবশ্য বেশ আশাবাদী রীতেশ। এই দিন বৈঠকে তিনি বলেন, এফএনডি অর্থাৎ ফাংশনাল নিউট্রিশনাল ড্রিঙ্ক লেবেল হরলিকস অনেক বেশি উপযুক্ত। এছাড়াও, তার কথায়,এই বিশেষ বাজারটিতে এখনও বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। ফলে সংস্থার পক্ষেও তা ইতিবাচক হবে বলে মনে করছেন সংস্থার অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক। 

খাদ্যসুরক্ষা সংস্থার সাম্প্রতিক নির্দেশ

২০০৬ সালের খাদ্যসুরক্ষা আইনে ‘হেলথ ড্রিঙ্ক’-র নির্দিষ্ট কোনও ব্যাখ্যা নেই। সেই অনুযায়ী, এই ধরনের শ্রেণিভুক্তকরণে আইনি সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি বিভ্রান্ত হতে পারেন ক্রেতারাও। সাধারণ ড্রিঙ্কস ও পুষ্টিকর ড্রিঙ্কসের মধ্যে এই বিভ্রান্তি কাটাতেই ই কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। হেলথ ড্রিঙ্কসের নাম করে ভুয়ো বিজ্ঞাপনও চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু সংস্থা। সেই কার্যকলাপ বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ এফএসএসএআই। 

বোর্নভিটা-কাণ্ডের জের

হরলিকসের এই পদক্ষেপকে সাম্প্রতিককালের বোর্নভিটা-কাণ্ডের জের বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত বছর এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার বোর্নভিটার মধ্যে থাকা অতিমাত্রার চিনি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বোর্নভিটার মূল সংস্থা মন্ডেলেজ একটি আইনি নোটিস পাঠায় তাঁকে। কিন্তু এর প্রেক্ষিতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন পাল্টা পদক্ষেপ নেয়। সংস্থাকে সমস্ত ভুয়ো বিজ্ঞাপন, অস্বাস্থ্যকর ড্রিঙ্কস তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরেই জাতীয় খাদ্যসুরক্ষা দফতরের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

(Feed Source: abplive.com)