নিজস্ব প্রতিবেদন: শুঁটকি মাছের কথা শুনলেই আজও বহু ঘটি পরিবারের সদস্যরা চোখ-মুখ কুঁচকে ওঠেন। আবার যারা শুঁটকির স্বাদ পরখ করে দেখেছেন তাঁদের কাছে এটা লা জবাব। আর যারা সিদলের স্বাদ একবার চোখে দেখেছেন তাঁরা বোধহয় জীবনে অমৃতের স্বাদ পেয়ে গিয়েছেন। মলা, পুঁটি, টাকি ইত্যাদি মাছের শুঁটকির সঙ্গে কচু বা মানকচুর ডাঁটা মিশিয়ে সিদল তৈরি করা হয়। গরম গরম ভাতের সঙ্গে সিদল, আহা যেন স্বর্গ সুখ! বাংলাদেশের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের একাংশে সিদলের ব্যাপক প্রচলন আছে। পশ্চিমবঙ্গেও বহু মানুষ সিদল খেতে পছন্দ করলেও তা সহজে এখানে পাওয়া যায় না। তবে তাঁদের জন্য এবার মুশকিল আসান। চাইলেই এবার বাড়িতে নিয়ে আসতে পারবেন প্যাকেটজাত সিদল।
আজকের প্রজন্মে বাঙাল পরিবার গুলিতে শীতল তৈরির উপায় বা পদ্ধতি অনেকেরই অজানা কিন্তু খেতে বহু মানুষ পছন্দ করে। তাছাড়া আজকাল বহু ঘটি পরিবারের সদস্যরাও সিদলের স্বাদে মজেছেন। তাদের সকলের জন্য এবং মুশকিল আসান হয়ে দেখা দিয়েছে অসমের সুদর্শন এথনিক ফুড সোসাইটি। তারা ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ দ্য ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্স স্টাডি ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএএসএসটি) করিমগঞ্জ শাখার সাহায্যে শুঁটকি সিদল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই এই বিশেষ প্যাকেটজাত সিদল যে কেউ কিনতে পারবেন। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও মলয় জয়রাজ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। যাতে অন্য কেউ এই সিদল তৈরির ফর্মুলা নকল করতে না পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই জিও ট্যাগ করা হয়েছে। আপাতত
অসমের মধ্যে এই প্যাকেটজাত সিদল পাওয়া যাবে। তবে আগামী দিনে চাহিদা বাড়লে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও পাওয়া যেতে পারে।
(Feed Source: news18.com)