সরকারি নথিতে মৃত, নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ঘটালেন এই ভয়ঙ্কর ঘটনা!

সরকারি নথিতে মৃত, নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ঘটালেন এই ভয়ঙ্কর ঘটনা!

জয়পুর: ভাবুন, একজন ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু তিনি দিব্যি বেঁচে আছেন৷ অথচ প্রশাসনের কাছে বারবার দরবার করেছেন তিনি৷ কোনও লাভ হয়নি৷ নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে শেষে কি না বেছে নিলেন অপরাধের পথ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বালোত্রা নামক প্রদেশে৷ ব্যক্তিটির নাম বাবুরাম ভীল৷

সম্প্রতি, রাজস্থানের বালোত্রার গ্রামবাসী নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে অর্ধ ডজন অপরাধ করেছে। তিনি বালোত্রার মিথোরা গ্রামের বাসিন্দা৷

সেখানে সম্ভবত ভুলবশত নিজের নামেই একটা ডেথ সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েছিলেন৷ যদিও তিনি নাকি অনেকবার সেটি সংশোধন করারও চেষ্টা করেছিলেন৷  কিন্তু সব চেষ্টাই জলে যায়৷ শেষ অবধি তিনি অন্য পথ বেছে নিলেন। আইনের চোখে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে অপরাধের দিকে চলে গেলেন৷

কয়েকদিন আগে বালোত্রা জেলার এক বিদ্যালয়ের ছুরি ও পেট্রোল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন৷ সেখানে দু’জন শিক্ষক ও এক অভিভাবকের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন।

পরে গ্রেফতার করার পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এক অদ্ভুত তথ্য সামনে আসে। সেখানেই বাবুরাম ভিল জানান, তিনি তথ্য পেয়েছেন যে, তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি করা হয়েছে৷ তাঁর আশঙ্কা এর ফলে তাঁর সম্পত্তি হস্তগত হবে। জীবিত থাকার প্রমাণ দিতেই নাকি বাবুরাম স্কুলে ঢুকে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি জানতেন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলে সরকারি নথিতে তাঁর নাম উঠবে৷ ফলে শেষ পর্যন্ত সরকারি নথিতে তিনি নিজের নাম দাখিল করতে পারেন৷

বালোত্রা জেলার পুলিশ সুপার কুন্দন কানওয়ারিয়ার জানান, ১৯শে জুলাই পুলিশের কাছে খবর আসে একজন যুবক পেট্রোল ক্যান এবং ছুরি নিয়ে সরকারি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢুকেছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত বাবুরামকে গ্রেফতার করে।

ছুরির হামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরদয়াল ও শিক্ষক সুরেশ কুমার গুরুতর আহত হন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের দু’জনকেই যোধপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

কয়েকদিন আগে অসম থেকে আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছে, অসমের শিবসাগর জেলায় একটা কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষককে তাঁরই এক ছাত্র ছুরি মেরে হত্যা করেছে। ওই ছাত্রকে শহরের স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রের দাবি, কোনও এক বিষয়ে আগে শিক্ষক তাঁকে বকাঝকা করেছিলেন৷ এই ঘটনায় সকলেই হতবাক৷

(Feed Source: news18.com)