দক্ষিণ দিনাজপুর: চৈত্রের তীব্র গরমে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন শরীর ঠান্ডা রাখা অত্যন্ত জরুরি। তেল, ঝাল, মশলা বিহীন খাবার এইসময় স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। আর তার জন্য শসার জুড়ি মেলা ভার। শসা শরীরের উপকার করার পাশাপাশি গরমে ডিহাইড্রেশন রোধে দারুণ কাজ করে। তাই দেরি না করে চটজলদি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন কালোজিরে-শসার ঘণ্ট।
শুনতে অবাক লাগলেও মশলাবিহীন এই ঘণ্টর যা স্বাদ তাতে বাড়ির সবাই চেটে পুটে খাবে। উপকরণ হিসেবে, প্রথমে শসার খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। সঙ্গে লাগবে কয়েকটি চেরা কাঁচালঙ্কা, ফোড়নের জন্য কালোজিরে এবং পরিমাণ মত হলুদ, নুন ও সামান্য চিনি।
প্রথমেই গ্যাসে পাত্র বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতন সর্ষের তেল গরম করে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কাগুলো দিয়ে দিন। এবার তাতে ফোড়নের জন্য কালোজিরে দিয়ে একটু নেড়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, লঙ্কা যেন পুড়ে না যায়। এবার তাতে ছোট টুকরো করে কেটে রাখা শসা দিয়ে দিন। মশলার জন্য দিতে হবে স্বাদমত নুন, হলুদ গুঁড়ো ও সামান্য চিনি। এবার বেশ ভালভাবে নেড়ে চেড়ে মশলার সঙ্গে শসা মিশিয়ে নিয়ে ভেজে নিন। তবে এতে কিন্তু কোনভাবেই জল দেওয়া যাবে না। কারণ শসা থেকে যে জল বেরোবে তা দিয়েই সিদ্ধ হয়ে যাবে।
এবার বলি শসার গুণাগুণের কথা। প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয় তার বেশিরভাগই শসার মধ্যে আছে। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। শসায় যে জল থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে বেশ কার্যকরী। ক্যানসার প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে শসা।
আবার ফিরে আসি রান্নায়। সবজি ভালভাবে ভাজা হয়ে গেলে দেখা যাবে শসার জলেই পুরোটা কষে গিয়ে সিদ্ধ হয়ে গেছে। বেশ ভালভাবে কষে নিয়ে মাখো মাখো হয়ে এলে উপর থেকে সামান্য ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই পুরো তৈরি হয়ে যাবে কালোজিরে-শসার ঘণ্ট। তবে বাজারের কচি শসা দিয়ে নয়, বুড়ো বা পাকা শসা দিয়ে এই তরকারি রান্না করুন। বাজারে শসার তরকারি বানানোর মত আলাদা করে শসা পাওয়া যায়। সেই শসা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন এই ঘণ্ট। দুপুরের গরম ভাত বা রাতে রুটি সঙ্গে এই মশলাবিহীন শসার ঘণ্ট
পরিবেশন করুন, সকলে চেটে পুটে খাবে।
সুস্মিতা গোস্বামী
(Feed Source: news18.com)