‘অভিশাপ’ শুনতে হত, মোহন-ইস্ট ফ্যানদের গ্রেফতারি আটকে ‘হিরো’ হলেন কল্যাণ চৌবে!

‘অভিশাপ’ শুনতে হত, মোহন-ইস্ট ফ্যানদের গ্রেফতারি আটকে ‘হিরো’ হলেন কল্যাণ চৌবে!

যাঁরা এতদিন তাঁকে ‘ধিক্কার’ জানাতেন, তাঁরাই আজ কল্যাণ চৌবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। কারণ রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন চত্বরে যখন কয়েকজন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল ফ্যানকে আটক করেছিল পুলিশ, তখন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) সভাপতির তৎপরতায় তাঁরা ছাড়া পান বলে দাবি করেছেন সমর্থকদের একাংশ। আর সেজন্য তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে মাইক হাতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি যে বার্তা দেন, তাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাঁর বার্তায় মজেছেন অনেকে। যদিও অনেকের আবার বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণেই তিনি সেই কাজ করেছেন।

কল্যাণ চৌবে কী বলেন?

রবিবার যুবভারতী সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘পুলিশ কী বলবে? যে ১০ টা ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছি। কেন? তারা ফুটবল খেলা (আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং মৃত্যুর ঘটনার রবিবার প্রতিবাদ মিছিল করেন সমর্থকরা) দেখতে এসেছিল। ফুটবল খেলা দেখায় কী অপরাধ আছে? তো আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। ফুটবল খেলা দেখার জন্য কাউকে অ্যারেস্ট হতে দিতে পারব না। আপনারা এখান থেকে মৌন মিছিল করে বেরিয়ে যান। আমাদের এটুকু কথা দিতে হবে।’

‘অভিশাপ’ শুনতে হত, এখন ‘হিরো’ কল্যাণ

আর কল্যাণের কাজে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তেমনই একজন বলেন, ‘কল্যাণ চৌবেকে বাহবা দিতে চাই। আমরা হয়তো তাঁকে অভিশাপ দিই। কিন্তু উনি আজ সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর কোনও সমর্থককে গ্রেফতার হতে দেননি। উনি কার্যত পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। আর ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের কোনও সমর্থককে গ্রেফতার হতে দেননি।’ অপর একজন বলেন, ‘আজ কল্যাণ চৌবে যা করলেন, তা প্রশংসনীয়।’

রাজনৈতিক কারণে এমন করেছেন, অভিযোগ একাংশের

যদিও অনেকেই আবার পুরো বিষয়টার মধ্যে রাজনীতি জড়িত আছে বলে দাবি করেছেন। তেমনই একজন বলেন, ‘আমিও বিচার চাই। কিন্তু এটা ভুলে যাবেন না যে কয়েকদিন আগেই উনি মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছি। কিন্তু রাজনৈতিক ফাঁদে পা দেবেন না।’

অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘উনি রাজনৈতিক কারণে এসব করছেন। বিজেপি নেতা তো।’ এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘উনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতা। তাই উনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। কারণ এটা শুধু ফুটবলের বিষয় নয়।’ একজন আবার বলেন, ‘উনি নোংরা রাজনীতি করছিলেন।’

(Feed Source: hindustantimes.com)