জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর-কাণ্ড থেকে শুরু করে মি টু , সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিষয়ে খবরের শিরোনামে শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। সম্প্রতি আরজি কর প্রসঙ্গে তাঁর কয়েকটি পোস্টের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হতে হয় অভিনেত্রীকে। একাধিক বিষয়ে কেউ তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও সমালোচনার মুখেও পড়েন অভিনেত্রী। এহেন অবস্থায় বুধবার ফেসবুক থেকে বিরতি ঘোষণা করলেন শ্রীলেখা।
বুধবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন ‘কিছুদিনের জন্য আনইনস্টল করছি ফেসবুকটা। আমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা, পার্টি কিছুই আর ভালো লাগছে না। আমি আর্টিস্ট বা সেলিব্রিটি নই। আমি একজন সেনসিটিভ মানুষ। এত চাপ আমি আর নিয়ে পারছি না। চারিদিকে এই অবক্ষয় আমায় ক্লান্ত করে দিয়েছে। আমি এসবের থেকে দূরে যেতে চাই। আমার একটু ছুটির প্রয়োজন। তাই আমায় যোগাযোগ না করার চেষ্টা করাই ভালো।’
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন শ্রীলেখা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও একাধিক পোস্টে নিজের কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী। এরই মাঝে আর্টিস্ট ফোরাম,ফেডারেশন, ইম্পা ও টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানকে উইমেন্স ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কারসের লেখা চিঠি নিয়েও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে শ্রীলেখা লেখেন, ‘হাসবো না কি কাঁদবো তা বুঝতে পারছি না। উইমেন্স ফোরাম তৈরি হচ্ছে অথচ চার বছর আগে আমায় বলা হয়েছিল আমি ভিক্টিম কার্ড খেলছি। আমি মিথ্যেবাদী, আমার কোনও যোগ্যতা নেই এসব যারা বলেছিল তারাও আজ এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে যুক্ত। এদের বিরুদ্ধে কমিটি কে বসাবে? আমার নাম এখনও থাকলে আমি অবাক হতাম। এটা কিছুই নয় শুধুই একটা আই ওয়াশ। আমি কাদের ব্যাপারে কথা বলছি তারা বুঝতে পারছে। আপনি শুধু শুধু নিজের গায়ে নেবেন না।’
অন্যদিকে ‘মি-টু’ আন্দোলন নিয়ে যখন উত্তাল মলিউড তখন মালায়ালম ছবিতে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন শ্রীলেখা। তিনি জানিয়েছেন অন্ধকারে তাঁকে অশালীন ভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলেন মালায়ালম পরিচালক রঞ্জিত। এই ঘটনার পরেই কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় রঞ্জিতকে। ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি।
(Feed Source: zeenews.com)