আনোয়ার আলি মামলায় নির্দেশ প্রত্যাহার PSC-র! কোন ক্লাবে রইলেন তিনি! রইল ধোঁয়াশা…

আনোয়ার আলি মামলায় নির্দেশ প্রত্যাহার PSC-র! কোন ক্লাবে রইলেন তিনি! রইল ধোঁয়াশা…

আনোয়ার আলিকে নিয়ে চূড়ান্ত নাটক চলছেই। সাম্প্রতিককালে ভারতীয় ফুটবলে বোধহয় কোনও একজন ফুটবলারকে নিয়ে এত নাটকও হয়নি। প্রায় এক যুগ আগে ভাইচুং ভুটিয়া যখন মোহনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন সেই সময় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী ক্লাব সম্মুখ সমরে নেমেছিল পাহাড়ি বিছেকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছিলেন ভাইচুংই। বহু বছর পর আনোয়ার আলির মামলাতেও ভারতীয় ফুটবলে বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে। দিল্লি এফসির কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজের সৌজন্যে ভারতীয় ফুটবল বহুদিন পর এখন খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে জাতীয় দলের এই ফুটবলারকে কেন্দ্র করে। এআইএফএফের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি জানিয়ে দিল, অগাস্টের ২ তারিখ থেকে নেওয়া তাঁদের সব সিদ্ধান্তই তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে চাপ কার বাড়ল, সেটা আগামী দিনই বলবে।

ঙ্গলবার এআইএফএফের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির তরফে জানানো হয় ২ অগাস্টের পর থেকে নেওয়া আনোয়ার আলি মামলায় সব সিদ্ধান্ত বা নির্দেশই তুলে নেওয়া হল। ২রা অগাস্ট প্রথম আনোয়ারের দল ছাড়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। এরপর অবশ্য জানা গেছিল, যে ইস্টবেঙ্গলে সই করতে গেলে মোহনবাগানের থেকে এনওসি নিতে হবে আনোয়ারকে, তবে সেটা নিজের বা ক্লাবের ঝুঁকিতেই।

মোহনবাগান থেকে এনওসি পেয়ে আনোয়ার আলি ইস্টবেঙ্গলে সই করার পর অবৈধভাবে চুক্তিভঙ্গের দায় চলতি মাসের ১০ তারিখ এআইএফএফের পিএসসির বড় শাস্তির মুখে পড়ে ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি এফসি এবং আনোয়ার আলি। ১২.৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয় আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিকে। চার মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয় আনোয়ারকে। এরপর দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনের পর সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। বলা হয়, এআইএফএফের পিএসসিকেই ফের একবার এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। এবার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি জানিয়ে দিল শাস্তির সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আনোয়ারের চুক্তি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত তাঁরা দিয়েছিলেন তাও ফিরিয়ে নিলেন। ২রা অগাস্টের আগের অবস্থায় ফের ফিরিয়ে আনা হল আনোয়ারকে।

বার প্রশ্ন দাঁড়াল ২ অগাস্টের আগে পর্যন্ত মোহনবাগানেরই ফুটবলার হিসেব মতো ছিলেন আনোয়ার, কারণ তখনও অবৈধভাবে তিনি ইস্টবেঙ্গলে সই করেননি। বলা ভালো ইস্টবেঙ্গলও স্পোর্টস্যান স্পিরিট দেখিয়ে কোনও অবৈধ কাজ করেনি, ফলে সেই অবস্থায় যদি আনোয়ারকে ফের ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে তো আবারও মোহনবাগানের ফুটবলার হয়ে গেলেন আনোয়ার। এরকমই একটা ধোঁয়াশা তৈরি হল তাঁকে নিয়ে। এখন তিনি কি করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

(Feed Source: hindustantimes.com)