এই আন্দোলনের গায়ে রাজনৈতিক রং দিতে পারলে, শাসক-বিরোধীদের সুবিধা হত: পরমব্রত

এই আন্দোলনের গায়ে রাজনৈতিক রং দিতে পারলে, শাসক-বিরোধীদের সুবিধা হত: পরমব্রত

কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন, কুরুচিকর আক্রমণ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের। তিনি বলছেন, ‘রাতদখল করতে গিয়ে রাস্তায় বসে মদ খাচ্ছে মেয়েরা। মা-বাবারা খোঁজ নিয়েছেন, মেয়ে কোথায় যাচ্ছে? আমার এলাকায় একটি হোটেলে, মহিলারা রাতে মদ খেতে যান। বলে দিয়েছি, এখন থেকে আর ওই হোটেলে মহিলারা মদ খেতে যাবেন না। কোনও অঘটন ঘটলে কী হবে? সে জন্য আমাদের পাহারা দিতে হচ্ছে। মোমবাতি জ্বালান, মিছিল করুন, কিন্তু মেয়ে কোথায় যাচ্ছে খোঁজ রাখুন মা-বাবা। কিছু হলে আমাদের ঘাড়ে দায় এসে পড়ছে’, আজ যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, কাল তাঁরা বিদেশে ঘুরতে যাচ্ছেন, মন্তব্য মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের। আর এবার, এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

বুধবার, এই বিষয় নিয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যখন কোনও রাজনৈতিক ছাতার তলায় না এসে একটা বড় জনগোষ্ঠী আন্দোলন করেন আর সেই আন্দোলন সফল হতে থাকে, তখন শাসক-বিরোধী সবাই চেষ্টা করে সেই আন্দোলনটাকে খাটো করতে। এটা আমরা বার বার দেখেছি। NRC-CAA-র সময় দেখেছি যে কেন্দ্রীয় শাসকদল কখনও তাঁদের ‘আরবান নকশাল’ বা ‘অ্যান্টি ন্যাশনাল’ বলছে। আমরা কৃষক আন্দোলনের সময়ও একই ছবি দেখেছি। বলা হয়েছে এটা কৃষকদের আভ্যন্তরীণ বিষয়.. বাইরের লোকেরা কথা বলছে কেন? কৃষকেরা কী গাড়ি করে আন্দোলন করতে আসছেন সেই ছবি দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসকদল পোস্ট করছিলেন। বর্তমানে আমি একটুও বিস্মিত হচ্ছি না যে রাজ্যের শাসকদলের একটা বিশেষ অংশ অন্তত এই আন্দোলনটাকে খাটো করতে চাইছেন। তাঁদের খুব সুবিধা হত, যদি এই আন্দোলনটা একটা বিশেষ রাজনৈতিক রং পেয়ে যেত। তাহলে তাঁরা সরাসরি এটার বিরোধীতা করতে পারতেন বা তাঁদের নিজেদের কোর্টে বলটা চলে আসত। কিন্তু সাধারণ মানুষেরা যেহেতু গত দেড় মাস ধরে এই আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক রং লাগতে দেননি, সেই কারণে শাসক-বিরোধী সবার খুব সমস্যা হচ্ছে। হলে তাঁদের খুব সুবিধা হত। কিন্তু এই সুবিধাটা হতে দেওয়া যাবে না। এতে সৌগতবাবু, স্বপনবাবু, শুভেন্দুবাবুর মন খারাপ হলে কিছু করার নেই। ডাক্তার বা সাধারণ মানুষের এই অরাজনৈতিক আন্দোলনটা কিন্তু মানুষের মনে থাকবে।

(Feed Source: abplive.com)