পুজোয় সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণের ইচ্ছে ? দীঘা, মন্দারমণির বদলে যেতে পারেন এখানে

পুজোয় সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণের ইচ্ছে ? দীঘা, মন্দারমণির বদলে যেতে পারেন এখানে

 

পুজো এসেই গিয়েছে।বাঙালির মনে এখন সাজ সাজ রব। সঙ্গে ছুটির আনন্দও রয়েছে। বেশীরভাগ মানুষ এই সময় নিজের বাড়িতে থাকতে পছন্দ করলেও কেউ কেউ এই ছুটিকে কাজে লাগিয়ে ঘুরতে চলে যান। কেউ কেউ দূরে জন আবার কেউ কেউ কাছেপিঠেই ঘুরে আসেন। কেউ কেউ ঘুরতে যান পাহাড়ে আবার কারোর পছন্দ সমুদ্র সৈকত। আর সমুদ্র বলতেই প্রথমে মনে আসে দীঘা, মন্দারমণি। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে একটি দারুণ টুরিস্ট স্পট। যেটি অপেক্ষাকৃত কাছেও। আর সেই স্পটটি হল বকখালি‌ (Bakkhali travel)। কলকাতা থেকে মাত্র ৩ ঘন্টার দূরত্বে এই সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। থাকা-খাওয়া কিংবা কাছের মানুষকে নিয়ে আশপাশ ঘুরে দেখতে হলে এইখানে যেতেই পারেন। বেশ সাশ্রয়ে মিলবে সবকিছু। 

কীভাবে যাওয়া যায় (Bakkhali tour)?

ট্রেন কিংবা বাস রুট দুটোই রয়েছে। ট্রেনে যেতে হলে শিয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণ শাখায় নামখানা লোকাল ধরতে হবে। নামখানা নেমে মেন রোডে গিয়ে বাস বা অটো ধরতে হবে।  বাসের তুলনায় অটোতে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায়। তবে খরচ খানিক বেশি। মাত্র আধ ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারবেন। আবার পুরো রাস্তা বাসে যেতে হলে ধর্মতলা যেতে হবে প্রথমে। সেখান থেকে বকখালি যাওয়ার অনেক বাস মিলবে। নিজের গাড়িতেও যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে যেতে হবে। কুলপি, কাকদ্বীপ হয়ে সোজা বকখালি পৌঁছানো যাবে। কলকাতা থেকে দূরত্ব ১২০ থেকে ১৪০ কিমি। 

থাকার খরচ (Bakkhali hotel booking)

বকখালির মেন রোডটি সমুদ্র সৈকত বরাবর নয়। তাই এখানে হোটেল থেকে সমুদ্রের দৃশ্য খুব দেখতে পাবেন না। তবে সমুদ্রের সৈকত থেকে ৫-১০ মিনিট হাঁটা দূরত্বেই সমস্ত হোটেল। নন-এসি হোটেলের খরচ পড়বে ৫০০-৯০০ টাকার মধ্যে। এসি হোটেলের খরচ ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। সি সাইড হোটেলগুলির খরচ একটু বেশি হয়। সেই ক্ষেত্রে ঘর প্রতি ৫০০ টাকা করে বেশি দাম পড়ে।এখন অনলাইনেই সব বুক করা যায় আগে থেকেই। কিংবা ফোনেও বুক করা যায়। আবার পৌঁছেও বুক করে নিতে পারেন।  

খাওয়া দাওয়া (Bakkhali restaurants)

খাবারদাবারের কোনও অভাব নেই এখানে। সব হোটেলেই আছে খাবারের ব্যবস্থা। ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ সেভাবে না থাকলেও সবরকম খাবারই মোটামুটি মিলবে। আপনি চাইলে বাজার করেও দিতে পারেন। হোটেল থেকে সেসব রান্না করার ব্যবস্থাও আছে। 

সাইড সিন (Bakkhali side scene)

বকখালির হেনরি আইল্যান্ড এবং ফ্রেজারগঞ্জ মূলত: পর্যটনস্থল হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত। সঙ্গে সমুদ্রস্নান তো আছেই। হেনরি আইল্যান্ডে থাকে হলে ফোন করে বা অনলাইনে হোটেল বুক করে নিতে পারেন।অন্যদিকে ফ্রেজারগঞ্জ মূলত: ফিশিং হারবার হিসাবেই পর্যটকদের পছন্দ। প্রচুর মাছ মেলে এইখানে। সারা বছরের ক্লান্তি সরিয়ে পুজোর ছুটিতে একটু নিরিবিলিতে গিয়ে কাটিয়ে আসতেই পারেন এই বকখালিতে। মন, মাথা দুইই হবে ফ্রেশ। 

(Feed Source: hindustantimes.com)