Cholesterol in Eyes: চোখের চারিদিকে অদ্ভুত মাংসপিণ্ড! এই ভয়ঙ্কর লক্ষণই ডেকে আনবে…

Cholesterol in Eyes: চোখের চারিদিকে অদ্ভুত মাংসপিণ্ড! এই ভয়ঙ্কর লক্ষণই ডেকে আনবে…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চোখের পাতার আশেপাশে সাদা-হলদেটে মাংসপিন্ড ? কিন্তু নেই ব্যথাবেদনা, কিন্তু দেখতে লাগছে খারাপ। সচারচর চল্লিশের পর থেকেই চোখের উপর-নীচে এমন হলদেটে মাংসপিণ্ড গজাতে দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে মানুষের খাবারের অভ্যাস, লাইফস্টাইলে অনিয়ম ফলে খুব কম বয়স থেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। চোখের পাশে এমন ব্যথাহীন মাংসপিণ্ডকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘জ্যানথেলাসমা’। শরীরে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে দেখা দিতে পারে।

কোলেস্টেরল বাড়লে তার ছাপ দেখা যায় ত্বকেও। জ্যানথেলাসমা ত্বকেরই একধরনের সমস্যা। যদিও এটি খালি চোখের সমস্যা নয় একই সঙ্গে হার্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সচারচর শরীরে লিপিড লেভেলের ইম্ব্যালান্স হলে দেখা দেয়। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ অর্থাৎ এলডিএলের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তে শুরু করলে রক্তে সেগুলি জমা হতে থাকে। কিন্তু এই মাংসপিণ্ড যদি ক্রমশয় বাড়তে থাকে তাহলে সেটি বিপদজনক। তখনই হতে হবে সতর্ক। এর মানে, রক্তে রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা সাঙ্ঘাতিক ভাবে বেড়ে চলেছে, যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের কারণ হয়ে উঠতে পারে।কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে হৃদযন্ত্রে চাপ পড়ে বুকে ব্যথা হয়।

সমাধান লুকিয়ে কিসে? 
কোলেস্টেরল থাকলে ভাজাভুজি খাওয়া যাবে না। যেহেতু এই সমস্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরিস থাকে ফলে কোলেস্টেরল লেভেল বেড়ে যায়।

রান্নায় তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। সর্ষের তেলের বদলে সাদা তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই বদলাতে হবে।

এইসব কিছুর পাশেই নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যেমন- যোগা করা, সাইকেল চালানো ও সাঁতারের মতো অভ্যাসও সাহায্য করতে পারে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে।

(Disclaimer: প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে না।)

(Feed Source: zeenews.com)