‘বাবা-মাকে বাড়ি কিনে দিয়ে মনে হয়েছিল কষ্ট সার্থক’, চোখে জল নিয়ে বললেন রচনা

‘বাবা-মাকে বাড়ি কিনে দিয়ে মনে হয়েছিল কষ্ট সার্থক’, চোখে জল নিয়ে বললেন রচনা

কলকাতা: দর্শকের ভালবাসা জিতে হাজার পর্বে পা রাখল ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। টিভির পর্দায় এক দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসে এখনও সমান জনপ্রিয় এই গেম শো। হাজার পর্বের সেলিব্রেশনে দিদি নম্বর ওয়ানের সেটে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হলেন পর্দার একাধিক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পীরা? ছোটপর্দায় সাফল্যের সফরের স্মৃতি চারণে কী বললেন রচনা?

এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রচনা বলছেন, ‘দেখতে দেখতে ১৩টা বছর কেটে গেল। এখনও মনে পড়ে ২০১১ সালে প্রথম শুরু করেছিলাম ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। সেই ছোট্ট সেট, ছোট্ট ফ্লোর। অন্যরকম একটা ব্যাপার ছিল। সেখান থেকে এত বড়ভাবে এই শোটাকে সবার সামনে নিয়ে আসি। এত দিদিরা আসেন, তাঁদের কথা বলেন.. এই জায়গাটা একটা একেবারে অন্যরকম জায়গা। আমার মনে হয় না ভারতবর্ষে আর কোথাও এমন কোনও শো হয়’। রচনা আরও বলছেন, ‘দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে সবটাই ভীষণ সাবলীলভাবে হয়। চিত্রনাট্য লিখে এখানে কাজ হয় না। এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবটাই স্বাভাবিকভাবে হয়। দিদিরা যা কথা বলেন, তাঁদের প্রত্যুত্তরে আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের থেকে প্রত্যেক মুহূর্তে শিখি, তাঁদের সমর্থন করার চেষ্টা করি। সেটারে ‘মরাল সাপোর্ট’ বলতে পারেন। আর রাজনীতির জায়গাটা এখন আমার কাছে শিক্ষণীয়। আমি শিখছি। সবে ৫-৬ মাস হয়েছে আমি রাজনীতিতে এসেছি।’ রচনা বলছেন, ‘দিদি নম্বর ওয়ান -এর ইউএসপি হল মানুষ ঘরের কথা মনের কথা শুনতে ভালবাসেন। তিনি হয়তো আসতে পারেনি। কিন্তু তাঁর মনে যে কথাটা রয়েছে সেটা একজন অন্য দিদি বলে দিচ্ছেন। এটা মানুষকে ভীষণ ছুঁয়ে গিয়েছে।’

সদ্য চ্যানেলের তরফ থেকে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে একটি প্রোমো। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জোজো বলছেন, ‘আজকে আমরা ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হওয়ার গল্প শুনব।’ আর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘আমার মা-বাবা একটা খুব ছোট্ট ফ্ল্যাটে আমায় মানুষ করেছেন। খুব শখ ছিল মা-বাবাকে একটা ভাল ঘর করে দেব। যখন এই ফ্ল্যাটটা কিনলাম, বাবা-মা এত খুশি হয়েছিলেন মনে হল এতটা কষ্ট সার্থক হল।’ কথা বলতে বলতে রচনার চোখে জল। লম্বা কেরিয়ারে ফিরে দেখাও তো বড় সহজ নয়।

(Feed Source: abplive.com)