বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ গেম ড্র গুকেশের , লিরেনের সঙ্গে জমে উঠেছে লড়াই

বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ গেম ড্র গুকেশের , লিরেনের সঙ্গে জমে উঠেছে লড়াই

বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে আবার চমক দিলেন গুকেশ। আবার আটকে দিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে। প্রথম গেমে পরাজয়ের পর দুরন্ত কামব্যাক করেন ভারতের এই গ্র্যান্ড মাস্টার।দ্বিতীয় গেমে ড্র করেছিলেন তিনি। এরপর তৃতীয় গেমে লিরেনকে পরাজিত করেন গুকেশ।ফলে, ১৪ ম্যাচের সিরিজে স্কোর দাঁড়ায় ১.৫-১.৫।এখন তা গিয়ে দাঁড়াল ২-২। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের ডি গুকেশ এবং চিনের ডিং লিরেন।

শুক্রবার চতুর্থ গেম একটু অন্যরকম ভাবে শুরু করেছিল চিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তৃতীয় ম্যাচে পরাজয়ের কারণে একটু রক্ষণাত্মক চাল দিচ্ছিলেন তিনি। একটা সময় পর্যন্ত কাজেও আসছিল তাঁর সেই পরিকল্পনা। কিন্তু ১১ দান দেওয়ার পর দেখা যায় গুকেশ তাঁর থেকে ১৩ মিনিটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। চতুর্থ গেমে ডিং লিরেন সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলেছিলেন।অন্যদিকে কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেছিলেন ডি গুকেশ। এর আগে দ্বিতীয় গেমেও কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেছিলেন তিনি। সেই গেমটিও ড্র হয়েছিল। এদিনের গেম শেষ হয় ৪২ চালে।

খেলা শেষে ডিং লিরেন বলেন, ‘তৃতীয় গেমটি কঠিন ছিল। তাই আমি বিশ্রাম নিয়েছিলাম। সেই কারণে আমি এখানে ভালো মেজাজ নিয়ে এসেছিলাম। ওপেনিংয়ে প্রতিপক্ষকে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা শুরুতে কাজ করেছিল।খুব একটা খারাপ যাচ্ছিল না। কিন্তু অ্যাডভান্টেজ খুবই কম ছিল। তিনি আমার পরিকল্পনাকে পরাজিত করেছে।’

এদিন ম্যাচ শেষে গুকেশকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘গ্যারি কাসপারভ বহুবার বলেছেন যে তিনি সংখ্যাতত্ত্বে কিছুটা বিশ্বাস করেন। তিনি এপ্রিলের ১৩ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৩ তম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। আপনি ১৮তম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করছেন এবং আপনার বয়স ১৮ বছর। তাহলে এটা কী আপনার জন্যও কার্যকর হবে?’ হেসে উত্তরে গুকেশ বলেন, ‘আমি ফিশারের উদ্ধৃতিতে আরও বেশি বিশ্বাস করি। আমি ভালো চাল দেওয়ায় বিশ্বাসী। হ্যাঁ, আমি শুধু ভালো চাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

প্রসঙ্গত, আগের দিন তৃতীয় গেমে ৩৭ চালে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন গুকেশ। তিনি সেদিনের ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, ‘এই জয়টা খুবই আনন্দের। গত দু’দিনের পারফরম্যান্স নিয়েও খুশি ছিলাম। তৃতীয় গেমে অনেক ভালো পারফরম্যান্স করতে পেরেছি। খেলা চলাকালীনই মনে হচ্ছিল ভালো কিছু হবে। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে জয় পেয়েছি। সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলার বাড়তি সুবিধা থাকে, সেটাকেই এদিন কাজে লাগিয়েছি। প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় ভালো খেলায় জয় লাভ করেছি, এটাই ইতিবাচক দিক।’

(Feed Source: hindustantimes.com)