Parineeti Chopra: ‘এত গরিব ছিলাম জন্মদিনে কেক জুটত না, কাটতাম রসগোল্লা’, বড় নায়িকার ছোট কাহিনী…

Parineeti Chopra: ‘এত গরিব ছিলাম জন্মদিনে কেক জুটত না, কাটতাম রসগোল্লা’, বড় নায়িকার ছোট কাহিনী…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আম্বালায় বেড়ে ওঠা পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra) সম্প্রতি বলেছেন যে তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তাঁর বাবা-মা আর্থিকভাবে বেশ কঠিন সময় পার করেছিলেন। পরিণীতি বলেন যে এমন সময় ছিল যখন তাঁর বাবার জন্মদিনের কেক কেনার জন্য পর্যাপ্ত টাকা ছিল না, তাই তিনি রসগোল্লা বা রসমালাই কিনে দিতেন এবং তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে জন্মদিনের কেক হিসাবে রসগোল্লা কাটতেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে একই বছরগুলিতে, কেনিয়ায় বসবাসকারী তাঁর মায়ের বাবা-মা অর্থাত্‍ তাঁর দাদু দিদা এতটাই ধনী ছিলেন যে তাঁরা পরী এবং তাঁর ভাইকে বিজনেস ক্লাসে নাইরোবিতে নিয়ে যেতেন।

সম্প্রতি এক আড্ডায় পরিণীতি বলেন, তাঁর বাবা-মা তাঁকে “সুন্দর মানসিকতা” দিয়েছেন যাতে তিনি সব ধরণের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। “আমরা আসলে খুব কম জিনিস পেয়েই বড় হয়েছি,” আম্বালায় তার শৈশব সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন। এরপর তিনি উল্লেখ করেন যে তিনি সেই বছরগুলিতে তাঁর বাবা-মায়ের সংগ্রাম দেখেছেন এবং কীভাবে পরিবার জন্মদিনে এক টুকরো রসগোল্লা ভাগ করে খেতে পারত কারণ তাঁরা জন্মদিনের কেক কিনতে পারতেন না।

“আমি আমার বাবা-মায়ের সংগ্রাম দেখেছি যেখানে তাঁদের কাছে আমার জন্য জন্মদিনের কেকের জন্য টাকা ছিল না এবং আমার বাবা বাজারে গিয়ে এক টুকরো রসগোল্লা কিনতেন, এক কেজি নয়, এক টুকরো রসগোল্লা বা রসমালাই এবং আমরা সেই রসমালাইকে জন্মদিনের কেকের মতো কাটতাম,” বলেন পরিনীতি।

একই আড্ডায় পরিণীতি জানান যে, কেনিয়ার নাইরোবিতে বসবাসকারী দাদু-দিদা বেশ “ধনী” ছিলেন এবং তাঁর দাদু প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে তাঁকে এবং তাঁর দুই ভাইকে নাইরোবিতে নিয়ে যেতেন। পরিণীতি বলেন, “আমার দাদু-দিদা, যাঁরা কেনিয়ায় থাকতেন, তাঁরা খুব ধনী ছিলেন। আমি আম্বালা থেকে যেতাম, যেখানে আমাদের প্রায় কিছুই ছিল না, এবং আমি প্রতি বছর ২ মাস এই বিলাসবহুল জীবনযাপন করতাম কারণ আমি আমার গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে যেতাম ওখানে”। পরিণীতি বলেন যে, তার শৈশবের এই বৈচিত্র্যের কারণেই, তিনি বিশ্বাস করেন, তিনি যেকোনো জায়গায় মানিয়ে নিতে পারেন। তিনি বলেন, “এই কারণেই আমি এবং আমার দুই ভাই, আমার মনে হয় আমরা যেকোনো জায়গাতেই যে কারো সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। আমরা যেকোনও ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারি।”

(Feed Source: zeenews.com)