
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৮০র দশকের বিখ্যাত সুন্দরী অভিনেত্রী পুনম ধিলন ‘ইয়ে ভাদা রাহা, বিবি ও বিবি, জামানা’র মতো ছবিতে কাজ করে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছিলেন। এই ছবিগুলোতে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুর। ঋষির অভিনয় গুণে যেমন পুনম মুগ্ধ ছিলেন, ঠিক তেমনই, ঋষি কাপুরের রূপ লাবণ্য এবং অভিনয়ের স্বাচ্ছন্দ্য তাঁকে অবাক করত। ১৯৯০ এর দশক পর্যন্ত রোমান্টিক প্রধান চরিত্রের অভিনয় করে গিয়েছেন ঋষি কাপুর। সেসময় তিনি বহু অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন। পুনম তাদের মধ্যে একজন।
তবে ঋষি কাপুর ছিলেন অত্যন্ত নাক উঁচু। তাঁর রূপ নিয়ে তিনি যেমন ছিলেন গর্বিত, তেমনি তার কথায় কথায় ইংরেজির পাণ্ডিত্য জাহির করা ছিল এক স্বভাব। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে, পুনম ধিলন জানান যে, ঋষির এই ব্যবহারের জন্য তিনি নিতুর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। সহ-অভিনেত্রীরা সকলে তাঁর ছোট ছিলেন তাই ঋষি সকলের মাঝখানে নিজেকে খুব বড় ভাবত।
ঋষির ইংরেজি বলার ক্ষমতা এমনই ছিল যে, তিনি ধরে নিতেন তিনি ছাড়া তাঁর আশেপাশের কেউই ইংরেজিতে পারদর্শী নন, এক কথায় অশিক্ষিত। নিয়মিত টাইম ম্যাগাজিন পড়া ঋষি নিজেকে সবসময় খুব সুপন্ডিত ভাবত। সহ অভিনেত্রীরা তাঁর ছোট হওয়ার জন্য তাকে একটু ভয়ও পেত। দীর্ঘদিন ঋষির ইংরেজির পাণ্ডিত্য জাহির করা দেখতে দেখতে একদিন পুনম বিরক্ত হয়ে বলে ফেলেছিলেন, ‘শোনো তুমি ক্লাস টেন ফেল, আর আমি স্নাতক… তাই বেশি ইংরেজী দেখিও না।’ এই কথা স্মরণ করার সময় পুনম হেসে গড়িয়ে পড়েন।
ঋষি কাপুর পড়াশোনায় সত্যিই ক্লাস টেন পাশ করেননি। কিন্তু তার অভিনয় ক্ষমতা দিয়েই তিনি সবটুকু অর্জন করেছিলেন। শুটিংয়ের সেটে প্রায়ই স্ক্র্যাবল খেলত। সহ-অভিনেত্রীরা তাঁর ইংরেজির শব্দভাণ্ডার দেখে মুগ্ধ হত। মাঝে মাঝে ঋষির ইংরেজি নিয়ে ভুল ধরিয়ে দিতেন পুনম। ঋষিকে বিরক্তিকর বলেও সম্বোধন করেছে পুনম।
ঋষি কাপুর যখন নিজের জীবন কথা ‘খুল্লামখুল্লা: ঋষি কাপুর আনসেন্সর্ড লিখছিলেন, তখন পুনমকে ফোন করি বলেছিলেন যে, ‘আমি আমার জীবনের সমস্ত সহ-অভিনেত্রীদের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। প্রত্যেকের কথা আমি আমার জীবনপঞ্জিতে লিখছি। আমার অভিনয় জীবনের অংশ হওয়ার জন্য আমি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ স্বভাবতই এই ধরনের মিষ্টি আচরণ এবং ব্যবহারে পুনম মুগ্ধ হয়েছিলেন।
দুর্ভাগ্যজনক যে, ২০২০ সালের এপ্রিলে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬৭ বছর বয়সে ঋষি কাপুর মারা যান।
(Feed Source: zeenews.com)