সুপার কাপের মহড়ায় Chennayin FC-কে হারাল ইস্টবেঙ্গল! প্রীতি ম্যাচে গোল আনোয়ারের

সুপার কাপের মহড়ায় Chennayin FC-কে হারাল ইস্টবেঙ্গল! প্রীতি ম্যাচে গোল আনোয়ারের

১ সপ্তাহ পরই শুরু হয়ে যাচ্ছে কলিঙ্গ সুপার কাপ। গতবছর এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল সত্যিই ভালো ফুটবল খেলেছিল। কিন্তু এবারে লালহলুদ ফুটবলারদের পারফরমেন্স সেরকম নয়। আইএসএল মরশুমের শুরুতেই টানা ছয় ম্যাচে হেরেছিল লালহলুদ শিবির, যার ফলে পরের দিকে ম্যাচ জিতলেও প্লে অফে যাওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁদের।

সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় ম্যারাথন লিগ জেতা সব সময়ই কঠিন। কারণ ৩-৪ মাস ধরে ফুটবলারদের ফিট থাকতে হয় এবং জয়ের ধারাবাহিকতা রাখতে হয়। তুলনায় যদি দেখা যায়, দেশের ফুটবলে নকআউট কাপে অনেক দলই ভালো পারফরমেন্স করে যারা ম্যারাথন লিগে অতটাও নজর কাড়তে পারেনা। কারণ এখানে ম্যাচ বাই ম্যাচ পারফরমেন্স করেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়, কারণ খেলার সংখ্যা অনেক কম থাকে।

গতবার ইস্টবেঙ্গলের সুপার কাপ জয়ের পিছনে একাধিক স্প্যানিশ ফুটবলারের অবদান ছিল, কিন্তু তাঁরা এখন ইস্টবেঙ্গলে নেই। ফলে সেই ক্লেটইনদের ওপর ভরসা করেই লালহলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো নামতে চলেছেন কলিঙ্গ জয়ের উদ্দেশ্যে। তবে প্রথম ম্যাচেই রয়েছে শক্ত গাঁট কেরল ব্লাস্টার্স, ২০ এপ্রিল হবে সেই ম্যাচ। তাঁদের হারানো গেলে পরের রাউন্ডে তাঁরা মুখোমুখি হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের।

তবে অনুশীলনের ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখছেন না ইস্টবেঙ্গলের কোচ ফুটবলাররা। কলিঙ্গ সুপার কাপ শুরুর অনেক আগেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা প্রস্তুতিতে নেমে পরেছেন। ট্রফি জয়ের বিষয়ও যথেষ্ট ফোকাসড লালহলুদ শিবির। এবার রাজারহাটের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের মাঠে তাঁরা প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজেদের দেখে নিলেন। কারণ দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে ফুটবলারদের, কারণ আইএসএলের লিগ স্টেজ শেষের পর ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকও গেছে। তাই দলের মধ্যে সংঘবদ্ধতা ও বোঝাপড়া ফেরাতেই আগেভাগে অনুশীলনে নেমেছেন ব্রুজো।

রবিবার ছিল রাজারহাটের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের মাঠে ইস্টবেঙ্গল দলের প্রস্তুতি ম্যাচ চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেই ১-০ গোলে জিতল লালহলুদ ব্রিগেড। সঙ্গে কোচের স্বস্তির খবর আনোয়ার আলির গোল পাওয়া। তিনি ১৬ মিনিটের মাথায় গোল করেন। যদিও এক্ষেত্রে অস্বস্তির দিকও কিন্তু রয়েছে। চোট কাটিয়ে ওঠা আনোয়ার গোল পেলেও দলের স্ট্রাইকাররা কিন্তু প্রীতি ম্যাচেও ব্যর্থ।

আর সুপার কাপের মতো প্রতিযোগিতা জিততে গেলে ডিফেন্ডারদের গোলের ওপর ভরসা করলে হবে না। কারণ ১টা গোলও নকআউট ম্যাচে ভাইটাল হয়। তাই সব ক্ষেত্রে যে ডিফেন্ডাররা উঠে যাবেন গোল করতে, তেমনটাও নয়। কারণ নিজেদের দুর্গ রক্ষাও করতে হবে। কারণ লিগের ম্যাচে গোল খেলেও ম্যাচ ড্রয়ের সুযোগ থাকে, নকআউটে গোল খেলেও ম্যাচ যেতে পারে অতিরিক্ত সময়। সেক্ষেত্রেও ব্রুজোর দুই চিন্তার বিষয় হেক্টর উইসতের বয়স, কলিঙ্গে এপ্রিলের শেষের গরম আর আনোয়ারের চোট কাটিয়ে ফিরে আসার পর ফিটনেস।

(Feed Source: hindustantimes.com)