পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা শাহজাদ !

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা শাহজাদ !

নয়াদিল্লি: ফের পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার! এবার উত্তরপ্রদেশে পাক চর সন্দেহে গ্রেফতার যুবক। রামপুরের বাসিন্দা শাহজাদকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ STF। ভারত-পাক সীমান্তে চোরাচালানের মাধ্যমে ISI এজেন্টদের তথ্য পাচারের অভিযোগ শাহজাদের বিরুদ্ধে। ভারতে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য উত্তরপ্রদেশ থেকে পাকিস্তানে লোক পাঠাত সাজ্জাদ: সূত্র। কী কী তথ্য পাচার, জানতে জিজ্ঞাসাবাদ STF-এর।

উল্লেখ্য, সদ্য পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানার তরুণী জ্যোতি মালহোত্রকে। দিল্লিতে পাক দূতাবাসের এক আধিকারিকই জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন আইএসআই এজেন্টদের। এরপর পাক গুপ্তচর সংস্থাকে একের পর এক সংবেদনশীল তথ্য পাচার করতে থাকে জ্যোতি। যার মধ্যে রয়েছে সেনাঘাঁটি সম্পর্কিত বহু তথ্য।  ইউটিউবার জ্যোতির অ্যাকাউন্ট জুড়ে এখনও জ্বলজ্বল করছে পাকিস্তানের নানান ভিডিও।

কেউ দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে দিচ্ছেন। আর কারও বিরুদ্ধে নিজের মাতৃভূমির সঙ্গেই উঠছে প্রতারণার অভিযোগ। ইনিই ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্র। পাক গুপ্তচর সন্দেহে হরিয়ানার এই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে যা নিয়ে এখন তোলপাড় দেশ। জ্যোতির ইউটিউব অ্যাকাউন্টে এখনও জ্বলজ্বল করছে পাকিস্তানের নানা জায়গার ভিডিও। পহেলগাঁও হামলার আগেই পাকিস্তানে গেছিলেন তিনি। অভিযোগ এই ভারতীয় তরুণী, অপারেশন সিঁদুরের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য,এমনকী ভারতের সেনাঘাঁটি সংক্রান্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে দিয়েছিলেন।এখানেই শেষ নয়, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ভারতীয় সেনার প্রস্তুতি সংক্রান্ত তথ্যও পাকিস্তানের হাতে পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে জ্যোতির বিরুদ্ধে।

হরিয়ানা হিসার ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট  কমলজিৎ বলেন, আমরা নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হিসারের বাসিন্দা জ্যোতিকে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট ও বিএনএস এর ১৫২ নম্বর ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার করেছি। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া ল্যাপটপ ও মোবাইলে সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া গেছে। জ্যোতি লাগাতার পাকিস্তানের নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল। কিন্তু হরিয়ানার বাসিন্দা জ্যোতি মালহোত্র কীভাবে হয়ে উঠলেন পাক ‘গুপ্তচর’? এর নেপথ্যে উঠে আসছে দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তান দূতাবাসের এক আধিকারিকের নাম। যাঁর নাম এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশ।

সূত্রের দাবি,২০২৩ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন জ্যোতি মালহোত্র। সেই সূত্রেই দিল্লিতে নিযুক্ত পাক দূতাবাসের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে পরিচয় হয়। পাকিস্তান ঘুরে ভারতে চলে আসার পরও পাক দূতাবাসের আধিকারিকের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। এমনকী তাঁর আমন্ত্রণে দিল্লিতে পাক দূতাবাসের অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলেন জ্যোতি।সূত্রের দাবি, এহসান-উর-রহিমের সুপারিশেই ফের পাকিস্তানে যান জ্যোতি। সেখানে গিয়ে ISI এজেন্টদের সঙ্গে দেখা করেন ইউটিউবার।২০২৩ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে ৩ বার পাকিস্তান গিয়েছেন জ্যোতি। আর তাঁর খরচ বহন করেন দানিশ।

শুধু জ্যোতিই নয়, ভারতের একাধিক সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল দিল্লির পাক দূতাবাসের ওই আধিকারিকের।’অপারেশন সিঁদুরে’র পর ১৩ মে তাঁকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় ভারত।যদিও জ্যোতির পাকিস্তান যাতায়াতের কথা কিছুই জানা ছিল না পরিবারের লোকজনের।জ্যোতি মলহোত্রর বাবা  হরিশ মালহোত্র বলেন,’আমাকে বলে যেত দিল্লি যাচ্ছে। জানি না পাকিস্তান গেছে কি না। এরা মিথ্যে বলছে না সত্যি বলছে জানি না।’

(Feed Source: abplive.com)