
নিহত যুবক রাজার ভাই বিপিন রঘুবংশী করেছেন, সোনমকে অপহরণ করে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে৷ তাঁকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷
মেঘালয়ের সোহরায় ওয়াইসে দং ঝরনা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের দম্পতি৷ পরে উদ্ধার হয় স্বামীর কোপানো দেহ৷ মেঘালয়ের ঘটনায় CCTV ফুটেজ দেখে সামনে আসছে একাধিক জল্পনা৷ CCTV-তে দেখতে পাওয়া গিয়েছে এক সন্দেহজনক ব্যক্তিকে৷ তাকে নিয়েই কথা বলেছেন রাজা-সোনমের আত্মীয়েরা৷
রাজা-সোনম যে হোটেলে ছিলেন, সেখানে থাকা সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে তাদের শেষ ফুটেজ৷ হোটেলে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ছবিগুলিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, রাজা এবং সোনম একটি স্কুটিতে একসঙ্গে রয়েছেন।
এই ফুটেজে ওই হানিমুন কাপলকে যথেষ্ট হাসিখুশি এবং উৎফুল্ল মনে হচ্ছিল৷ এই ফুটেজে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছে সোনমের পোশাক৷
ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোনম একটি সাদা টপ পরে রয়েছেন৷ প্রসঙ্গত, সোনমের স্বামী রাজার কোপানো দেহ যেদিন উদ্ধার হয়, সেদিন তাঁর লাশের পাশে পড়েছিল মেয়েদের একটা সাদা জামা৷ প্রশ্ন উঠছে, লাশের পাশে থাকা সেই সাদা জামা-ই কি সোনম ভিডিয়োয় পরে থাকা সাদা জামা?
তেমন যদি হয়, তাহলে সোনমের জামা কেন ওখানে পড়ে থাকল, আর সোনমই বা কোথায় গেল? নাকি, সোনমের সঙ্গে বীভৎস কিছু করেই সাদা জামা তাঁর স্বামীর দেহের পাশে ফেলে দিয়েছিল আততায়ীরা? ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়..৷ খুনের পাশাপাশি উঠে আসছে পাচার তত্ত্বও৷
নিহত যুবক রাজার ভাই বিপিন রঘুবংশী করেছেন, সোনমকে অপহরণ করে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে৷ তাঁকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ যদিও রাজার দেহের পাশে যে সাদা টপ পড়েছিল, সেটিই সোনমের জামা কি না, তা এখনও স্পষ্ট করে বলেনি পুলিশ৷ তদন্ত চলছে৷
সোনমের বাবা দেবী সিং রঘুবংশী মামলায় গুরুতর অভিযোগ করেছেন৷ বলেছেন যে, এই পুরো ঘটনাটি একটি সুপরিকল্পিত অপহরণ এবং হত্যার পরিকল্পনা। দেবী সিং অভিযোগ করেছেন যে, হোটেলের কর্মীরা এবং যারা অ্যাক্টিভা গাড়িটি সরবরাহ করেছিলেন, তাঁরা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকতে পারেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ যদি কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তাহলে পুরো সত্য বেরিয়ে আসবে। সবাই স্বীকার করবে কে এর সাথে জড়িত।’
(Feed Source: news18.com)
