
নয়াদিল্লি: রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে ‘শুল্ক শাস্তি’ দিয়েছে আমেরিকা। দুই দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে ভারতীয় পণ্যের উপর। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ব্য়বসায়ীরা যখন বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন, সেই সময়ই ভারতের জন্য দেশের বাজার খুলে দিল রাশিয়া। মস্কো জানিয়েছে, আমেরিকার বাজারে যদি সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে রাশিয়ার বাজারে পণ্য পাঠাতে পারে ভারত। (India-Russia Relations)
রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন এই ঘোষণা করেছেন। ভারতের উপর যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘একতরফা’ বলে উল্লেখ করেন বাবুশকিন। তিনি বলেন, “আমেরিকার বাজারে ঢুকতে সমস্যা হলে, রাশিয়া ভারতকে রফতাবিতে স্বাগত জানাচ্ছে। যারা নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে, তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। ভারতের জন্য পরিস্থিতি কঠিন। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর আস্থা আছে আমাদের। জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বজায় থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী আমরা।” (Russian Oil)
রাশিয়ার থেকে তেল কিনে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে মদত জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা। এমনকি যুদ্ধের আগে যে পরিমাণ তেল কেনা হতো, এখন ভারত তার চেয়ে অনেক বেশি তেল কেনে বলেও দাবি করেছে তারা। ভারতের উপর আরও কড়া পদক্ষেপে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। যদিও বাবুশকিনের বক্তব্য, “ধরে নিচ্ছি, ভারতকে সবচেয়ে বেশি অশোধিত তেল সরবরাহ করে রাশিয়া। প্রতি বছর ভারতের চাহিদা বাড়ছে। এতে পারস্পরিক সহযোগিতা, আমরা পরস্পরের কতটা পরিপূরক, তা বোঝা যায়। আমরা নিশ্চিত, এই সহযোগিতা বজায় থাকবে।”
#WATCH | Delhi | On US trade adviser stating India should stop buying Russian oil, Roman Babushkin, Chargé d’Affairs of the Russian Embassy in India, says, “…Russia is the largest producer of oil and India is the largest consumer. Any kind of unilateral action leads to… pic.twitter.com/2llDm9YGfc
— ANI (@ANI) August 20, 2025
কিন্তু আমেরিকার চাপের জেরে ভারত যদি রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয়? জবাবে বাবুশকিনে বলেন, “ভারত রাশিয়ার তেল প্রত্যাখ্য়ান করলেই পশ্চিমের (আমেরিকার) সঙ্গে তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে উঠবে না। কারণ পশ্চিমি দেশের চরিত্র তা নয়। গত কয়েক বছরেই তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। ওরা নিজেদের নব্য ঔপনিবেশিক শক্তি বলে মনে করে, যারা শুধু নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবে। পশ্চিমি দেশ যদি আপনার সমালোচনা করে, জানবেন আপনি ঠিক কাজই করছেন। আমরা চাই না এটা হোক (রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিক ভারত)। আমরা জানি পরিস্থিতি কঠিন। এটাকেই কৌশলগত সম্পর্ক বলে। যা-ই ঘটুক না কেন, পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা।”
আমেরিকা যে শুল্ক চাপিয়েছে ভারতের উপর, তার তীব্র সমালোচনা করেন বাবুশকিন। তাঁর মতে, ভারতকে বন্ধু ভাবলে এমন আচরণ করত না আমেরিকা। ভারতকে রীতিমতো ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে, চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে মত তাঁর। পারস্পরিক স্বার্থকে সম্মান না করলে, তা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয় না বলেও মত বাবুশকিনের।
(Feed Source: abplive.com)
