কলকাতা : পুলিশের (Police) মারে মৃত্যুর অভিযোগে সার্জেন্ট-সহ ৩ জনকে ক্লোজ করা হল। গল্ফগ্রিন থানার সার্জেন্ট অমিতাভ তামাঙ্গ-সহ ৩ জন ক্লোজ করেছে লালবাজার। ‘ক্লোজড’ করা হয়েছে কনস্টেবল তৈমুর আলি, সিভিক ভলান্টিয়ার আফতাব মণ্ডলকে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, থানায় ডেকে পুলিশের মারধরে মৃত্যু হয়েছে দীপঙ্কর সাহার। ‘দীপঙ্করকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান তৈমুর ও আফতাব’, আর সার্জেন্ট অমিতাভ তামাঙ্গের নির্দেশেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দীপঙ্করকে বলেই সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, পুলিশই পিটিয়ে খুন করেছে ভাইকে। ময়নাতদন্তের সময় আমাদের থাকতেও দেওয়া হয়নি। ভিডিওগ্রাফিও করতে দেওয়া হয়নি। গল্ফগ্রিনকাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ মৃতের দাদার। CBI তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে লালবাজারের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয়েছে, হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ আনা এবং ময়নাতদন্ত, গোটা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। ৩ জন চিকিৎসকের দল ময়নাতদন্ত করেছেন। ময়নাতদন্তের সময় মৃতের পরিবারের সদস্যদের থাকার নিয়ম নেই।
পাশাপাশি, পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ, দীপঙ্করের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ২-৩ দিনের পুরনো। মৃত্যুর জন্য এই আঘাত যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসে সমস্যা ছিল, ছিল ফ্যাটি লিভারও। পুলিস সূত্রে খবর, ভিসেরা ও হিস্টো-প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট পেলে সঠিকভাবে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।
এদিকে গোটা ঘটনা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে। গত পুরভোটে ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছিলেন নিহত দীপঙ্করের দাদা। পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে দাবি জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিতে গল্ফগ্রিন থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ দেখায়। ইতিমধ্যে ট্যুইটে গোটা ঘটনা নিয়ে আক্রমণ করে অগ্নিমিত্রা পাল লিখেছেন ‘এরা পুলিশ না গুন্ডা? কেন এমন অমানবিক অত্যাচার? নোটিস ছাড়াই গ্রেফতারের দাবি করছে নিহতের পরিবার, পুলিশমন্ত্রী জবাব দিন।’
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ যদি অস্বীকার করা হয়, তাহলে তিনজনকে ক্লোজ করা হল কেন? লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু তিনজন পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম উল্লেখ করে FIR দায়ের করেছে মৃতের পরিবার, তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ক্লোজ করা হয়েছে।
(Source: abplive.com)