‘বাবা হেফাজতে, মা-কে হারিয়েছি’ , CBI এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন না অনুব্রত-কন্যা : সূত্র

‘বাবা হেফাজতে, মা-কে হারিয়েছি’ , CBI এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন না অনুব্রত-কন্যা : সূত্র

ব্রতদীপ ভটাচার্য , বীরভূম : অনুব্রত-কন্যার নামে নতুন সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে এই কোম্পানি তৈরি হয়। ২০০৬ সালে তৈরি হয় নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নীড় ডেভেলপারের শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল দেড় কোটি টাকা। এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেডের ঠিকানাতেই নীড় ডেভেলপারের ঠিকানা। এই কোম্পানির ডিরেক্টরও সুকন্যা মণ্ডল ও বিদ্যুৎবরণ গায়েন, দাবি সিবিআই সূত্রের।

CBI কে ফিরিয়ে দেন সুকন্যা মণ্ডল : সূত্র
বুধবার সিবিআই বীরভূমে অনুব্রত বাড়ি পৌঁছায় সিবিআই। কিন্তু সূত্রের খবর, বাড়িতে যাওয়া সিবিআই আধিকারিকদের ফিরিয়ে দেন সুকন্যা মণ্ডল। অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের সুকন্যা বলেন, বাবা সিবিআই হেফাজতে, মা-কে হারিয়েছি। এই অবস্থায় কোনও কথা বলব না।

এদিন এক মহিলা-সহ ৪ সিবিআই অফিসার অনুব্রতর বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে যান। তার আগে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছন তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। মিনিট দশেক পর অনুব্রতর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে দাবি, সুকন্যার নামে বোলপুরে কেনা হয়েছে জমি, চালকল-সহ একাধিক সম্পত্তি। বেনামে কোম্পানিও খোলা হয়েছে। যার শেয়ার ভ্যালু কোটি টাকা। অথচ অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, সেটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।

‘ অনুব্রতর নাম করেই ব্যবসায়ী এনামুল হকের কাছ থেকে টাকা নিতেন দেহরক্ষী সায়গল ‘
গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অনুব্রতর নাম করেই ব্যবসায়ী এনামুল হকের কাছ থেকে টাকা নিতেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এনামুলের সঙ্গে সায়গলের মোবাইলে কথোপকথনের তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। অনুব্রতর হয়ে তিনি কথা বলতেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, গত ৭ বছরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও কলকাতায় একাধিক সম্পত্তি কেনেন সায়গল।

‘ সায়গলের আয়ের সঙ্গে মিলছে না তাঁর সম্পত্তির হিসেব’
পুলিশ কনস্টেবল সায়গলের আয়ের সঙ্গে মিলছে না তাঁর সম্পত্তির হিসেব। চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর হয়ে ফোন ধরতেন সায়গল। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারে ধৃত এনামুল হকের মোবাইলে কথোপকথনের তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। গরুপাচার মামলায় ৯৬ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য মিলেছে বলে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের।