‘লক্ষ্মী ছেলে’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, সকলের দেখা প্রয়োজন এই ছবি : চিরঞ্জিত

‘লক্ষ্মী ছেলে’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, সকলের দেখা প্রয়োজন এই ছবি : চিরঞ্জিত

কলকাতা: মুক্তি পেয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly) পরিচালিত ‘লক্ষ্মী ছেলে’ (Lokkhi Chhele)। উজান গঙ্গোপাধ্যায়ের (Ujaan Ganguly) অভিনয়ে এই ছবি বেশ সাড়া ফেলেছে ইতিমধ্যেই। ‘উইন্ডোজ’-এর (Windows) প্রযোজনায় এই ছবি দেখে এসে কী প্রতিক্রিয়া অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjeet Chakraborty)?

‘লক্ষ্মী ছেলে’র প্রশংসায় চিরঞ্জিত চক্রবর্তী

‘কী আর বলব। বুকটা ভারী হয়ে গেছে।’ ‘লক্ষ্মী ছেলে খুবই প্রাসঙ্গিক, ,তাতে কোনও সন্দেহই নেই। অসম্ভব ভাল লেগেছে আমার। আমি আপ্লুত। বেশ কিছুক্ষণ ধরে আমি একটু থম মেরে ছিলাম। মাথার মধ্যে অনেকক্ষণ ছবিটা, তার সাবজেক্ট, তার চরিত্রগুলো ঘুরছিল।’ প্রথম প্রতিক্রিয়া চিরঞ্জিতের।

কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে এই ছবি। চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর কথায়, ‘প্রথম কথা কুসংস্কারে বিরুদ্ধে লড়াই তো আমাদের করতেই হবে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে এই ছবি বানানো হয়েছে। একটা বাচ্চার যেহেতু চারটে হাত সেজন্য সে চিকিৎসা পাবে না, তাকে নিয়ে মজা করা হবে, হইহই হবে, উৎসব হবে, আর এইসবের মাধ্যমে টাকা আয় হবে। সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না।’

আবার একইসঙ্গে এই ছবি বলে সমাজের তথাকথিত নিম্নজাতের মানুষের উঁচুজাতে উত্তরণের কথা। ‘নীচুজাতের মানুষের উঁচুজাতে উত্তরণ সেটা আছে এখানে। তাঁদেরও একটা স্বার্থ আছে। ১০০ বছর ধরে যারা নীচু জাতি হিসেবে চিহ্নিত, যাদের ছায়ায় পা দেয় না কেউ, সেই অবস্থা থেকে মুক্তি।’

সবশেষে চিরঞ্জিতের বক্তব্য, ‘কৌশিকে অন্য ছবিতে নায়ক তৈরি করার মতো উপাদান না থাকলেও এখানে আছে। এই ছবির পর উজানের হিরো হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

শহুরে ঘরে বসে করার মতো গল্প এটি নয়। এই গল্প একেবারে গ্রামে, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসের অন্তরালে থাকা মানুষদের জন্য। এটা তাঁদের নিয়ে গল্প। আমি ঈশ্বরের কাছে, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি যে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, উজান গঙ্গোপাধ্যায়ের এত ভাল একটা ছবি যেন গ্রাম, শহর সব জায়গার মানুষ দেখেন।

গত ২৬ অগাস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘লক্ষ্মী ছেলে’।