জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্তা টেমিডো মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। একজন ৩৪ বছর বয়সী গর্ভবতী ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যুর পরেই এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরেই পদত্যাগ করেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে হাসপাতালে বিছানা না থাকার কারণে লিসবনের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত হওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই মহিলা। স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে এই খবর। জার্নাল ডি নোটিসিয়াস রিপোর্ট করেছে যে জরুরী যত্ন পরিষেবা বন্ধ, হাসপাতালে ডাক্তারের অভাব এবং জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার সমস্যার প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। জরুরী প্রসূতি পরিষেবা বন্ধের কারণে তীব্র সমালোচনার পরে টেমিডো পদত্যাগ করেন।
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্তা টুইটারে পোস্ট করেছেন যে টেমিডোর সমস্ত কাজের জন্য তিনি ‘কৃতজ্ঞ’ ছিলেন। বিশেষত কোভিড মহামারী মোকাবেলায় তার কাজের জন্য। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সংস্কার অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন কোস্তা।
Reunimos esta tarde para preparar o Conselho de Ministros Extraordinário da próxima semana, em que aprovaremos o pacote de medidas de apoio ao rendimento das famílias. Continuamos a trabalhar. pic.twitter.com/LOirhCNOVK
— António Costa (@antoniocostapm) August 30, 2022
স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে মৃত ওই ভারতীয় মহিলা ৩১ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাকে সান্তা মারিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই হাস্পাতাল পর্তুগালের অন্যতম বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে তার অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পরে, হাসপাতালটি তাকে সাও ফ্রান্সিসকো জেভিয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। সান্তা মারিয়া হাসপাতালে নবজাতক বিভাগ পূর্ণ ছিল। সেই কারণে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু স্থানান্তর হওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই মহিলা।
দ্বিতীয় হাসপাতালে, তার একটি সি-সেকশন করা হয়। ওই মহিলার মৃত্যু হলেও নবজাতকটি নবজাতক কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে ওই মহিলার মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে।
মার্তা টেমিডো কোভিড -১৯ মহামারী চলাকালীন সফলভাবে দেশের ভ্যাকসিন রোলআউট পরিচালনার জন্য কৃতিত্ব পেয়েছেন। কিন্তু ডাক্তারের অভাবের কারণে অস্থায়ীভাবে জরুরী প্রসূতি পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের জন্য প্রবল সমালচনার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। সরকার বলেছে যে মার্তা টেমিডো ‘বুঝতে পেরেছেন যে তার আর পদে থাকার জায়গায় নেই’।
মার্টা টেমিডো, ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সেন্ট্রাল-লেফট সমাজতান্ত্রিক সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় সদস্য ছিলেন। পর্তুগালের লুসা নিউজ এজেন্সির মতে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ওই মহিলার মৃত্যু টেমিডোর পদত্যাগকে ত্বরান্বিত করে।
(Source: zeenews.com)