Tollywood: ‘কুপ্রস্তাব পেয়েও কেন আমায় মেসেজ করছিলেন?’ অভিনেত্রীকে পাল্টা জবাব পরিচালক বাপ্পার

Tollywood: ‘কুপ্রস্তাব পেয়েও কেন আমায় মেসেজ করছিলেন?’ অভিনেত্রীকে পাল্টা জবাব পরিচালক বাপ্পার

Tollywood, Casting Couch, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুক্রবার নতুন পরিচালক বাপ্পার বিরুদ্ধে যৌন ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী সুকন্যা দত্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এবার তাঁকে পাল্টা জবাব দিলেন পরিচালক। শুক্রবার থেকে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রথমে এই বিষয়ে কথা না বলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পরিচালক কিন্তু এই আলোচনা সমালোচনা বন্ধ করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য রাখলেন তিনি। “অল বেঙ্গল মেল ফোরাম” (ABFM) এর শ্রীমতী নন্দিনী ভট্টাচার্যই তাঁকে এই পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান বাপ্পা।

সুকন্যার দাবি ছিল, ‘বাপ্পা বিশাল বড় পরিচালক, উনি আমাকে একটি শর্ট ফিল্মে কাজ করার অফার করেন। উনি নাকি তিনটে শর্ট ফিল্ম জুড়ে একটি ফিচার বানাবেন যেটি হলে মুক্তি পাবে। বিভিন্ন কথআবার্তায় এটাই বুঝতে পারি যে, ওঁর সঙ্গে কাজ করতে গেলে বোল্ড সিনের ওয়ার্কশপ করতে হবে। আমি বুঝতে পারছি না উনি ছবি বানাবেন নাকি পর্ন ফিল্ম!ওঁর নোংরা প্রস্তাব প্রত্যাখান করি তখন আমায় বলেন আমি নাকি যৌন অক্ষম মহিলা। আরও অনেক কিছু যে ভাষায় বলেন তা লেখা সম্ভব নয়। উনি স্ক্রিপ্ট পড়ার নাম করে আমায় নোংরা ইঙ্গিত করতে থাকেন। উনি ফোনে কথা বলেন না, শুধু হোয়াটসঅ্যাপ কল করেন, যাতে কোনও কথা রেকর্ড না হয়। এমনকী ওঁর ছবিতে নায়িকা হতে গেলে ওঁর স্কুটি করে ঘুরতে হবে। তাঁর দাবি অভিনেত্রী বাসবদত্তাও ওঁর সঙ্গে বোল্ড সিনের ওয়ার্কশপ করেন তারপর কাজ করার সুযোগ পান।’

বাপ্পার বক্তব্য…

‘আমি শ্রীমতী সুকন্যা দত্তাকে কাজের কথা বলি ওঁর লুক দেখে আমার মনে হয় উনি আমার পরবর্তী কাজের সাথে যুক্ত হতেই পারেন। কিন্তু তারপর উনি যখন প্রথম আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন আমাদের রিহার্সালের রুমে সেখানে অন্তত ২২-২৫জন ছেলে-মেয়ের উপস্থিত ছিলেন। ওঁর সঙ্গে কথা হয়। সেদিন আমি ওঁকে স্পষ্ট করি আমি একজন স্ট্রাগলিং ডিরেক্টর, আমি একদম ইন্ডিপেন্ডেন্টলি কাজ করছি।। কিন্তু উনি জানান তাতে কি আছে, আমি প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী তাই আমার কোন আর্থিক সমস্যা আমার নেই, ওঁর নিজের একটি ক্যাফের কথা বলেন সেখানেও যেতে বলেন। কিন্তু সেটি আমার বাড়ি থেকে অনেক দূর তাই সেখানে আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয় আমি সেটা জানাই। সেদিনই আমি ওঁকে গল্পটা বলি। ওঁর পছন্দ হয় কিন্তু খুব অল্প সময়ে হাতে থাকে কারণ সবাই রিহার্সাল শুরু করার প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। তাই জন্য আমি দেখে নিতে পারি না যে ওঁর অভিনয়ের দক্ষতা কেমন। পরবর্তী সময় ওঁর সঙ্গে দেখা হয় উনি আমাকে ফোন করেন এবং একটি ক্যাফের লোকেশন পাঠান সেখানে যেতে বলেন, আমি যাই এবং সেখানে খাওয়ার অর্ডার দি, কিন্তু আমার নেটওয়ার্ক সমস্যা হচ্ছিলো তাই অনলাইনে দিতে পারছিলাম না আর আমার কাছে ক্যাশ ছিলো না সেই মুহুর্তে। তাই ওঁকে মেসেজ করি বিলটা দিয়ে দেওয়ার জন্য।

এরপর কথা হয় রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়ে রাস্তার ওপরেই। অনেকটা রাত হয়ে যাওয়ায় আমি বলি তুমি উবের বুক করে চলে যাও,উনি চলে যান। এরপর সৌজন্যতার খাতিরে এত রাতে যেহেতু বাড়ি ফিরছেন পরিচিত কেউ তাই জিজ্ঞাসা করি পৌঁছেছ কিনা..?? উনি জানান পৌঁছেছি এবং তারপর আমার খোঁজ নেন, এবং ওঁকে আমি যা যা সমস্যার কথা বলি ওঁর অভিনয়ের উন্নতির জন্য, যে উচ্চারণ ও ভোকাল ট্রেনিং নিতে হবে, আর এইরকম বোল্ড ওয়ার্কশপের কথাই আলোচনা হয় নি। এরপর উনি সেই রাতেই আমাকে লেখেন উচ্চারন নিয়ে…”ভাল নয় ভালো হবে তো” আমি সম্মতি জানাই, যেহেতু উনি বারবার “ভাল’ বলছিলেন কথার সময়, সেটা শুধরে দিই।। এরপর দিন ওঁর শ্যুটিং থাকায় আমি ওঁকে শ্যুটিং-এর জন্য শুভেচ্ছা জানাই। উনি শ্যুটিংয়ে গিয়েও কথা বলেন। আমার কাছে ভোক্যাল ট্রেনিং শিখতে চান ও আমার সিনেমাটি দেখতে চান।

তারপর ১২ই অক্টোবর আমাকে ওঁর নিজের ফটো পাঠান রাত ১২.৩০ মিনিটে হঠাৎই (যে স্ক্রিন শট গুলো উনি দেন নি) আমি লাইক চিহ্ন দি। এরমধ্যে উনি আমাকে অনেকবার কল করেন আমি স্পষ্টই জানাই, আগামী ছবিতে তোমাকে নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়, তুমি অভিনয়টা শিখে নিলে তারপর অবশ্যই কাজ হবে। উনি লিড রোল করতে চান..তার বিনিময়ে ইনভেস্ট করবেন বলেন কিন্তু আমি কোনোভাবেই সেই প্রস্তাবেও রাজি হই না। আমি কষ্ট করেই কাজ করছি তার নিদর্শন আপনাদের কাছে আছে।। এরপর মাঝে রইলো ১৩ তারিখ কোনো কথা হয় নি, আর ১৪ তারিখে সকালে উনি এইরকম উক্তি লেখেন যা নিয়ে একটা আলোচনা শুরু হয়।

প্রথমত, প্রথম মিটিং এ রিহার্সাল রুমে হওয়ার পর আমার ইনটেনশন খুবই স্পষ্ট হওয়া উচিত ছিলো ওনার কাছে, উনি সেকেন্ড মিটিং টাই করতেন না।। দ্বিতীয়ত, এরপর আমি যদি ওনাকে ৮ই অক্টোবর কু-প্রস্তাব দিই তাহলে উনি সেইদিন বাড়ি ফিরে উচ্চারণ সংশোধনের কথা বলতে পারেন না, বা আমি বাড়ি ফিরেছি কিনা সেটাও জানতে চাইবেন না।।কারণ উনি মানসিকভাবে ডিপ্রেসড থাকবেন।সেটাই স্বাভাবিক।তৃতীয়ত, আর তারপরও ১২ই অক্টোবর অবধি উনি আমার সাথে কথা বলেছেন, ছবি পাঠিয়েছেন, ও কাজ করতে চেয়েছেন।। এরমধ্যে বহু বার ফোন করেছেন, কল লিস্ট চেক করলেই পাওয়া যাবে। আমি ওনাকে কখনই হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে কল করি নি, যদি করে থাকি উনি তার স্ক্রিন শট দিতেই পারেন।।যেটা উনি বারবার দাবি করছেন, তার প্রমান ওনাকে দিতেই হবে।

আমি যা যা স্ক্রিন শট দিলাম পারলে উনিও প্লিজ পোস্ট করবেন, তাহলে সত্যতা বিচার করা সম্ভব। ওঁর বিরুদ্ধে “অল বেঙ্গল মেল ফোরাম”(ABMF)-এ অভিযোগ জানিয়ে এসেছি। থানাতেও জানানো হচ্ছে। আমার আইনজীবী আইনত ব্যবস্থা নেবেন। এখানে আর আমার কিছু বলার নেই। আমি শুধুই আমার বক্তব্য জানালাম। আশা করব যে সকল নিউজ পোর্টাল ওনার বক্তব্য সবার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, প্রমান ছাড়াই এবার আমারটাও পৌঁছে দেবেন । আমার কাছে তার প্রমান আছে,সেটাও দেখা যাচ্ছে।আর সমস্ত বন্ধু, প্রিয় ও অপ্রিয় মানুষদের কাছে অনুরোধ কোনো অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রমান ছাড়া আর মন্তব্য করবেন না।। যারা সস্তায় প্রচার পেতে চাইছেন তাদের বিরোধিতা করতে না পারলে অন্তত উৎসাহ দেবেন না, পারলে আমার কথা গুলো পৌঁছে দিন। যাতে আমার মতো নতুন পরিচালকদের আগামীতে এইভাবে মানসিক হেনস্তা না হতে হয়।। একটা সিনেমা বানানোর লড়াই অনেক বড় লড়াই যারা করেছেন তারা বুঝবেন। পাশে থাকবেন।’

(Feed Source: zeenews.com)