#হুগলি: হুগলির চুঁচুড়ার মিম ভবনের পাশেই রয়েছে ছোট্ট একখানা গুমটি দোকান। সন্ধে নামলেই দোকানের আলো জ্বলার আগে মৌমাছির মতো ভিড় হয়ে যায় খরিদ্দারদের। আর হবে নাই বা কেন মাছের চপ, মাংসের চপ, চিকেন বারমিশালি, আলুর চপ, মোচার চপ, ডিমের চপ, আরও একাধিক রকমের সুস্বাদু চপের সমাহার নিয়ে হাজির হয় চাচুর চপের দোকান। বংশ পরম্পরায় এই চপের দোকান চালিয়ে আসছেন দোকান মালিক।
আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে বর্তমান দোকান চালকদের বাবা চালু করেছিলেন খাদিনা মোড়ের কাছেই দোকানটি। বাবার পরে এখন তার দুই ছেলে ভানু ও অরূপ ব্যবসার হাল ধরেছে। তাদের দোকানের চপ এতটাই জনপ্রিয় মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফুরিয়ে যায় সমস্ত চপের আইটেম। কম করে ১৫ থেকে ১৬ রকমের চপের আইটেম পাওয়া যায় এই দোকানে। খরিদ্দাররা কেউ আধ ঘন্টা কেউ ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করেন চপ কেনার জন্য।
দোকানে চপ কিনতে আসা দুই খদ্দের জানান, একজন আধ ঘন্টা ধরে লাইনে অপেক্ষা করে আছেন চপ কিনবেন বলে। অন্য এক ব্যক্তি জানান ওয়ার্ক ফ্রম হোম চললে টুক করে অফিসের ফাঁকে চলে আসতে হয় তাকে চপের দোকানে। সন্ধেবেলা বাড়ির সকলের জন্য চপ কেনার হিড়িক থাকে। দোকানের সামনেও মস্ত লাইন। এই দোকানের চপের দাম খুবই রিজনেবল এবং সুস্বাদু হওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় চাচুর চপের দোকান।
বর্তমান দোকান মালিক জানান, প্রতিদিন ৮ কেজির কাছাকাছি বেসন গুলতে হয় চপ বানানোর জন্য। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা সেল থাকে তার দোকানের। তার বাবাকে স্থানীয়রা চাচু বলে ডাকতেন সেই থেকেই তার দোকানের নাম চাচুর চপের দোকান। বাবার তৈরির রেসিপিতে আজও চপ বানান বর্তমান বিক্রেতারা। তার দোকানে ন্যূনতম চপের মূল্য পাঁচ টাকা এবং সর্বাধিক মূল্য ৫০ টাকা।
বর্তমান দোকান মালিক ভানু দাসের কথা অনুযায়ী, যদি প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা সেল থাকে তাহলে এক মাসে তারা আয় লক্ষাধিকেও বেশি। তাই এক কথায় বলা চলে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ের চাচুর চপের দোকান চপ বেচেই লাখপতি।
(Feed Source: news18.com)