একরত্তি ফ্যাকাশে নীল বিন্দু, চাঁদের আকাশে অস্ত গেল পৃথিবী, ক্যামেরাবন্দি অভিনব দৃশ্য

একরত্তি ফ্যাকাশে নীল বিন্দু, চাঁদের আকাশে অস্ত গেল পৃথিবী, ক্যামেরাবন্দি অভিনব দৃশ্য

ক্যালিফোর্নিয়া: প্রায় পাঁচ দশক আগে বিশ্ব ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। এ বার তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ (NASA)। তাদের উদ্যোগে নতুন করে ফের চাঁদের মাটিতে মানুষের পদচিহ্ন পড়া এখন সময়ের অপেক্ষা। তার আগে, সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর তাতেই মহাশূন্য থেকে অপরূপ দৃশ্য সামনে এল, যেখানে চাঁদের আকাশে ফ্যাকাশে নীল রংয়ের পৃথিবীর দেখা মিলেছে (Lunar Mission)। তবে উপগ্রহের আকাশে সামনে নীলগ্রহের উপস্থিতি বিন্দুর আকারেই ধরা পড়েছে (Artemis I)।

আর্টেমিস অভিযানের শুরুতেই অনন্যকীর্তি নাসা-র

গত সপ্তাহে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেয় ‘নাসা’র মহাকাশযান ‘আর্টেমিস ১’ স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট এবং ওরিয়ন (Orion)। ইতিমধ্যেই চাঁদের উপরিভাগে পৌঁছে গিয়েছে  সেগুলি। এই মুহূর্তে ওরিয়ন ক্যাপসুলটি চাঁদের মাটির ১৩০ কিলোমিটার উপরে রয়েছে। বৃহদাকার কক্ষপথে প্রবেশের চেষ্টা করছে সেটি। কিন্তু সোমবারই অনন্যকীর্তি ঘটিয়ে নজির স্থাপন করেছে ওরিয়ন। চাঁদের আকাশে ফ্যাকাশে নীল পৃথিবীর ছবি পাঠিয়েছে সেটি। মহাশূন্যে তোলা ভিডিও-ও সামনে এসেছে। তাতে ধূসর রংয়ের বিন্দুর আকারে দৃশ্যমান পৃথিবীকে অস্ত যেতেও দেখা গিয়েছে। ওই ছবি এবং ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

চাঁদের আকাশে পৃথিবীর ওই ছবি যখন তোলা হয়, সেই সময় চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব ছিল ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ১৪৯.১২ কিলোমিটার। ‘নাসা’র উড়ান বিভাগের ডিরেক্টর জেবুলোঁ স্কোভিলে বলেন, “মনের মধ্যে পুষে রাখা দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণের দিন এটি। আজ সকালে চাঁদের আকাশে পৃথিবীকে অস্ত যেতে দেখলাম। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই চাঁদের মাটিতে ফের মানুষের পা পড়বে। সব হিসেব নিকেশ পাল্টে গেল।”

আরও পড়ুন: Best Mileage Cars: দুর্দান্ত মাইলেজ দেয় এই ৫ গাড়ি, ছোট পরিবারের জন্য আদর্শ

মহাশূন্যে একাধিক নিজস্বীও তুলেছে ওরিয়ন। ‘নাসা’র তরফে সেগুলি প্রকাশ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে ঘোর কালো মহাশূন্যে চোখে পড়েছে ঝকঝকে উপস্থিতি ওরিয়নের। ৫০ বছর পর, এই প্রথম চাঁদের আকাশে উড়ান মহাকাশযান ক্যাপসুলের। গত সপ্তাহেই আর্টেমিস অভিযানের সূচনা ঘটে। চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর আগের ধাপে আর্টেমিস এবং ওরিয়ন-কে পাঠিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখছে ‘নাসা’। শুধু তাই নয়,১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই অ্যাপোলো-১১ মহাকাশের অবতরণের পর যে জায়গায় প্রথম চাঁদের মাটিতে পা ফেলেন নীল আর্মস্ট্রং (Neil Armstrong), সেই জায়গাটিকেও চিহ্নিত করে, তার উপর দিয়ে উড়ে যায় ওরিয়ন।

২০২৪-এ চাঁদের মাটিতে মহিলা মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা

প্রায় পাঁচ দশক আগে বিশ্ব ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। এ বার তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’। তাদের উদ্যোগে নতুন করে ফের চাঁদের মাটিতে মানুষের পদচিহ্ন পড়া এখন সময়ের অপেক্ষা। চলতি অভিযান সফল হলে, ২০২৪ সাল নাগাদ ‘আর্টেমিস ২’ অভিযান শুরু হবে।  তার আওতায় মানুষ পাঠানো হবে চাঁদে।  ওই অভিযানে প্রথম মহিলা এবং অশ্বেতাঙ্গ মহাকাশচারীকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ‘নাসা’র।

(Feed Source: abplive.com)