প্রকাশ সিন্হা ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি দিয়েছিল আদালত। তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দিল্লিযাত্রায় পট পরিবর্তন ঘটে গেল। পুরনো অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলায় বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) সভাপতিকে হেফাজতে নিল পুলিশ।
দিল্লিযাত্রায় আদালতের অনুমতির পরই রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত
আদালতের অনুমতিতে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি-যাত্রা নিশ্চিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই নতুন ট্য়ুইস্ট (Cattle Smuggling Case)! পুরনো অভিযোগের প্রেক্ষিতে হওয়া মামলায়, পুলিশ হেফাজতে গেলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। এবার ইডি কী করবে? তাদের কাছে কী রাস্তা খোলা? সূত্রের দাবি, এনিয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন গোয়েন্দারা। আর তাতে এই পট পরিবর্তন নেহাত কাকতালীয় নয়, বরং রাজনৈতিক কৌশলের অঙ্গ বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।
সোমবারই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে অনুমতি দেয় দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট। আর ওই দিনই এক বছর আগে খুনের চেষ্টার অভিযোগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শিবঠাকুর মণ্ডল নামের এক তৃণমূল কর্মী। তার জেরে মঙ্গলবার অনুব্রতকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠাল আদালত।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই পট পরিবর্তনে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠে আসছে। অনুব্রতকে নিয়ে এ বার ইডি কী করবে, কী তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পুলিশি হেফাজতে যাওয়া আদৌ কি অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে, সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোটা বিষয়টিতে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশ জানানো হয়েছে। সেই নির্দেশনামার কপি আসানসোল জেলে পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর ফের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকে। ওইদিন ইডি-র অফিসাররা আদালতে উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা নিয়েও আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে সংস্থা সূত্রে দাবি।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই পট পরিবর্তনে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠে আসছে
যদিও এর নেপথ্যে তৃণমূলেরই হাত রয়েচে বলে দাবি বিরোধীদের। সিপিএম-এর দাবি, অনুব্রতকে আড়াল করতে গোটা চিত্রনাট্য রচনা করেছে তৃণমূল। অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা রুখতেই নয়া কৌশল বলে দাবি বিজেপি-র।
(Feed Source: abplive.com)