বহু প্রতীক্ষার টেট, হাতছাড়া করা যায়! সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়েই পরীক্ষা দিলেন মা

বহু প্রতীক্ষার টেট, হাতছাড়া করা যায়! সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়েই পরীক্ষা দিলেন মা

#বহরমপুর: টেট পরীক্ষায় চোখে পড়ল চোখ ভেজানো ছবি৷ মাত্র ৯ দিনের বাচ্চা নিয়ে পরীক্ষায় বসলেন প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল নামে এক পরীক্ষার্থী। তাঁর পরীক্ষার সেন্টার পড়েছিল রানিনগর থানার নবীপুর সরলবালা হাইস্কুলে। রবিবার সকাল সকাল সদ্যোজাত শিশুকে কোলে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পৌঁছন প্রিয়াঙ্কা। বাড়ির ডোমকলের রমনা গ্রামে।

কেমন হল  পরীক্ষা? প্রিয়াঙ্কা জানান, “প্রায় পাঁচ বছর পর পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেলাম। তাই হাতছাড়া করতে নারাজ। সদ্যোজাত শিশুকে নিয়েই পরীক্ষা সেন্টারে এসেছি।”

তবে কিছু বিক্ষিপ্ত সমস্যাও চোখে পড়ে এদিন৷ যেমন, রবিবার সকালেই বহরমপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মালবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ  না করার রাখার জন্য তীব্র যানজটে সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং কে রাস্তায় নামতে হয়। বহরমপুরের গির্জার মোড়ে সিপিএমের যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে মোটর বাইকে করে পরীক্ষা সেন্টারে কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সিপিএম কর্মী সৌম্যদীপ সোনাই বলেন, এটা আমাদের দায়িত্ব। যাঁরা অসুবিধার মধ্যে পড়েছে, তাদেরকে সহযোগিতা করেছি।

অরঙ্গবাদ দুখুলাল নিবারণচন্দ্র কলেজে বায়োমেট্রিক মেশিন না পৌঁছানোর ফলে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে সুতির বিডিও সমীরণ মণ্ডল পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন।  বহরমপুর থেকে সালারে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন অরিন্দম সরকার নামে এক পরীক্ষার্থী। সালার এর কান্দরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বিপরীত দিক থেকে  আসা বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোটরবাইকে। ওই পরীক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসতে পারেননি অরিন্দম সরকার নামে ওই যুবক। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং জানান, সামান্য সমস্যা হয়েছিল। পরিস্থিতির ঠিক হয়ে যাই অল্প সময়ের মধ্যেই। সমস্ত পরীক্ষার্থী ভালভাবেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে।

(Feed Source: news18.com)