Civil society on Ramnabami Violence: ‘রামনবমীর মিছিল হঠাৎ এমন উন্মত্ত কেন?’

Civil society on Ramnabami Violence: ‘রামনবমীর মিছিল হঠাৎ এমন উন্মত্ত কেন?’

Ramnabami Violence, Rishra, Howrah Kajipara, Anirban Bhattacharya, Koushik Sen, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রামনবমীকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিন ধরেই অশান্তি ছড়িয়েছে হাওড়ার কাজিপাড়া ও রিষড়ায়। সেই অশান্তি নিয়েই উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ। মঙ্গলবার পুলিস প্রশাসনের উদ্দেশ্যে চিঠি লেখেন কলকাতার বিদ্বজনেরা। চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘রামনবমী উদযাপনকে কেন্দ্র করে গত ৬ দিন ধরে যে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নাগরিক হিসাবে আমরা শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন বোধ করছি। তীব্রভাবে এই ঘটনাবলীর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ পুলিসের ভূমিকার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। এমনকী তড়িঘড়ি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবিও জানান নাগরিক সমাজ। সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন অপর্ণা সেন, সুমন মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, রেশমী সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য,সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, অনুপম রায় সহ আরও অনেকে।

জি ২৪ ঘণ্টার তরফে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পরিচালক অভিনেতা বলেন, ‘খুব সহজভাবে যদি ভাবা হয়, তাহলে রাম তো কোনও নতুন দেবতা নন, রামনবমীও নতুন নয়। এটা ঠিক যে, উত্তরপ্রদেশে যেভাবে রামনবমী পালন করা হয়, তা হয় পশ্চিমবঙ্গে এতদিন হতো না। সাম্প্রতিক সময়ে তা উত্তরোত্তর বেড়েছে, তাতেও কোনও সমস্যা নেই। পশ্চিমবঙ্গে বরাবরই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। কোনও কিছুই নতুন নয়। তাহলে উত্তরোত্তর অশান্তি বাড়ছে কেন?  তাহলে বুঝতে হবে যে, কোথাও একটা ইন্ধন রয়েছে। রাম তো দেবতা। এক দেবতাকে উপাসনা করতে গিয়ে অশান্তি হবে কেন? তাহলে সেটা কী ধরনের উপাসনা। আমাদের দেশের ধর্মের উপাসনার চেহারা তো এটা হতে পারে না। তখনই বুঝতে হবে কোনও একটা নতুন এলিমেন্ট যুক্ত হয়েছে, যেটা রাজনৈতিক ইন্ধন। কারণ আমি ছোট থেকে মেদিনীপুর শহরে রামনবমীর মিছিল দেখেছি, কোনওদিন তো এরকম কিছু হয়নি।’

অনির্বাণের মতোই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা কৌশিক সেন। তিনি বলেন, ‘রাম নবমী উপলক্ষে হাওড়া ও রিষড়ায় যে অশান্তি হল, আমরা তাতে আশঙ্কিত। আমরা বিবেচনা করে দেখেছি যে, এই যে সাম্প্রদায়িক অশান্তিগুলো হয়, তাতে সবচেয়ে বেশি অপকার হয় সাধারণ মানুষের। রাজনৈতিক দলগুলো ফায়দা তোলে। সাধারণ মানুষের জীবন, জীবিকার ক্ষতি হয়, খুবই ভয়ের সঞ্চার হয়। সমস্ত রাজনৈতিক দল এর থেকে ফায়দা তোলে। আমরা মনে করি পুলিস প্রশাসনের আরও দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল, তারা এবার ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার ফের ঘটনা ঘটেছে। সচেতন নাগরিক হিসাবে পুলিস প্রশাসনের নজর টানতে আমরা এই আবেদন করেছি।’

(Feed Source: zeenews.com)