টম্যাটো! যেমন রসালো, তেমনই সুস্বাদু, এখন গরমেও চাষ করা যাবে!

টম্যাটো! যেমন রসালো, তেমনই সুস্বাদু, এখন গরমেও চাষ করা যাবে!

কলকাতা: সাধারণত শীতের মরশুমেই টম্যাটো চাষ করে থাকেন কৃষকেরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের পাতে সারা বছরই টম্যাটোর চাহিদা থাকে। আসলে টম্যাটো খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ দুটোই বাড়ায়। এই কারণেই বাজারে অন্য যেকোনও সবজির সঙ্গে টম্যাটোর চাহিদা থাকে- তা সে শীত হোক বা গ্রীষ্ম। এখন অবশ্য সারা বছরই বাজারে টম্যাটো পাওয়া যায়। কিন্তু তা তেমন রসালো হয় না।

যদি কেউ গ্রীষ্মের মরশুমেও স্থানীয় বাজার থেকে টম্যাটো কিনে সাল্যাড খেতে চান, তবে তাও বাজারে পাওয়া যাবে। কারণ বক্সারের কৃষকরা এখন অসময়েও টম্যাটো চাষ শুরু করেছেন।

বিহারের বক্সার জেলার ডুমরাঁ ব্লকের নয়া ভোজপুর গ্রামের কৃষক আশুতোষ পান্ডে প্রথমবার তাঁর ক্ষেতে গ্রীষ্মকালীন টম্যাটো চাষ করেছেন। ওই কৃষক জানান, টম্যাটো শীতের ফসল হলেও এখন বিশেষ পদ্ধতিতে তা গরমেও চাষ করা যাচ্ছে। এমনকী প্রচণ্ড দাবদাহ যখন তাপমাত্রার পারদ ৪২ ডিগ্রি ছুঁয়েছে, তখনও ফসলের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। আশুতোষ বলেন, ‘এক একর টম্যাটো চাষে মোট ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে পাওয়া গেলে খরচের পাশাপাশি লাভও ভাল হতে পারে।’

বক্সারের কৃষক আশুতোষই জানালেন, এই বিশেষ টম্যাটো ফেব্রুয়ারি মাসে লাগানো হয়েছিল, যা জুলাই পর্যন্ত ফল দিয়ে চলেছে। এর বিশেষত্বই হল অধিক তাপমাত্রায় মানিয়ে নেওয়া। শুধু তাই নয় এই টম্যাটো হবে যেমন রসালো, তেমনই সুস্বাদু। অসময়ের ফসল বলে কোনও সমস্যাই নেই।

ফসল ভাল হলে আয় বাড়বে

নয়া ভোজপুর গ্রামের মাঠে প্রথমবারের মতো গরমের টম্যাটো চাষ করেছেন কৃষক। মাঠের টম্যাটো গাছে ফল ধরেছে থোকা থোকা। এতে ফসল ভাল হবে বলেই আশা করছেন কৃষক। তার ফলে আয়ও বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশি টম্যাটো চলে আসবে বাজারে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার ভরে যায় চালানি টম্যাটোয়। তাতে দেশি টম্যাটোর মতো রসালো স্বাদ থাকে না।

(Feed Source: news18.com)