মেয়েকে নিয়ে গ্যালারি থেকেই গুজরাতের জন্য গলা ফাটালেন ঋদ্ধিমানের স্ত্রী

মেয়েকে নিয়ে গ্যালারি থেকেই গুজরাতের জন্য গলা ফাটালেন ঋদ্ধিমানের স্ত্রী

কলকাতা: ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) ক্লাব হাউস লাগোয়া সি ব্লকের তিন নম্বর বক্স। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েছিলেন। পরনে সাদা জিনস, কালো টি শার্ট। পাশে বসে মেয়ে। রাজস্থান রয়্যালসের একটি করে উইকেট পড়ছে, আর দুজনে মিলে গলা ফাটাচ্ছেন। প্রার্থনা করছেন গুজরাত টাইটান্সের (GT) জয়ের।

দেবারতি সাহা। গুজরাত টাইটান্সের তারকা ঋদ্ধিমান সাহার স্ত্রী। মেয়ে আনভিকে নিয়ে মঙ্গলবার ইডেনে এসেছিলেন আইপিএল (IPL) প্লে অফ দেখতে। কর্পোরেট বক্স থেকেই গলা ফাটালেন গুজরাতের সমর্থনে।

এবিপি লাইভকে দেবারতি বলছিলেন, ‘এই প্রথম ক্রিকেটারদের পরিবারের জন্য নির্ধারিত বক্স ছাড়া অন্যত্র বসে খেলা দেখছি। আসলে আমি বায়ো বাবলে নেই। তাই দলের অন্যান্য ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারছি না।’

ছেলের বয়স মাত্র ২ বছর। একরত্তিকে আর মাঠে আনার ঝক্কি নেননি দেবারতি। তবে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। বলছিলেন, ‘গতকালই মিয়ার (মেয়ের ডাকনাম) জন্মদিন গেল। বাড়িতে ছোটখাট অনুষ্ঠান হয়েছে। শহরে থেকেও বায়ো বাবল ছেড়ে বেরতে পারবে না বলে ঋদ্ধি বাড়িতে আসতে পারেনি। ভিডিও কলে কথা বলেছে।’

মঙ্গলবার শূন্য রানে ফিরলেও গোটা আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করে চলেছেন ঋদ্ধিমান। তার পরেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের দলে তাঁকে রাখেননি নির্বাচকেরা। যা নিয়ে হতাশার কথা এবিপি লাইভকে আগেই জানিয়েছিলেন দেবারতি। ঋদ্ধি নিজে কতটা হতাশ? দেবারতি বলছেন, ‘ও আর কী বলবে। শুধু বলেছে, জানাই ছিল সুযোগ পাবে না। তবু আইপিএলে ওর পারফরম্যান্সের পর আমরা আশা করেছিলাম হয়তো সুযোগ পাবে।’

রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য বাংলা দলে রাখা হয়েছে ঋদ্ধিমানকে। যদিও তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। জাতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার হতাশায় রঞ্জি ট্রফিতে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋদ্ধি। তারপর সিএবি-র এক কর্তা তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অপমানিত উইকেটকিপার বাংলা ছাড়ার কথা ভেবেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে ঋদ্ধিমানের ঘনিষ্ঠ মহলের কেউ কেউ বলছেন, রঞ্জি ট্রফি না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। টানা প্রায় তিন মাস জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার পর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন তিনি।

গুজরাত ফাইনালে উঠলে কি আমদাবাদে যাবেন? দেবারতি বলছেন, ‘যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। দেখা যাক।’

(Source: abplive.com)