আকসাই চিনের উপর দখলদারি, জি২০ সম্মেলন থেকে সরে দাঁড়ানো, পরিকল্পিত পদক্ষেপ চিনের!

আকসাই চিনের উপর দখলদারি, জি২০ সম্মেলন থেকে সরে দাঁড়ানো, পরিকল্পিত পদক্ষেপ চিনের!
নয়াদিল্লি: সীমান্ত সংঘাত পর্ব পেরিয়ে রাজধানীর বুকে দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাৎ ঘিরে বাড়ছিল কৌতূহল। কিন্তু দিল্লিতে আয়োজিত জি২০ সম্মেলনেও  ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাতের ছায়া এসে পড়ল। অতি সম্প্রতিই ভারতের অরুণাচলপ্রদেশের একাংশ এবং লাদাখের আকসাই চিনকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখিয়ে নয়া মানচিত্র প্রকাশ করেছে চিন। জি২০ সম্মেলনের আগে তাদের এই সিদ্ধান্ত ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মত কূটনীতিকদের। (G20 Summit 2023)

চিনা মানচিত্র ঘিরে টানাপোড়েনের মধ্যেই জি২০ সম্মেলনে হতে চলেছে। সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লিতে আসার কথা ছিল চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের। কিন্তু এখন বেজিংয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ভারত সফরে আসার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন চিনপিং। পরিবর্তে দেশের প্রধানমন্ত্রী তথা চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির অভিজ্ঞ নেতা, লি চিয়াংকে ভারতে পাঠাতে চলেছেন তিনি। এই প্রথম ভারতে আসছেন লি। কিন্তু চিনপিংয়ের সিদ্ধান্ত বদল ভাবাচ্ছে দিল্লিকে। (India China Conflict)

আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি২০ সম্মেলনের আসর বসছে। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ যাবৎ প্রত্যেক জি২০ সম্মেলনেই নিয়ম করে হাজির থেকেছেন চিনপিং। করোনা কালে মাঝে কয়েক বছর বাদ গেলেও, ২০২১ সালে রোমেও জি২০ সম্মেলনের আয়োজন হলেও, অতিমারি সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে হাজির হতে পারেননি তিনি। কিন্তু দিল্লিতে জি২০ সম্মেলনের আয়োজনি থাকবেন বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। মানচিত্র বিতর্কের মধ্যে হঠাৎ করে তাঁর এই সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

চলতি মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকায় BRICS সম্মেলনে চিনপিংয়ের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় বেজিং জানায়, দিল্লির অনুরোধে সাড়া দিয়েই এই বৈঠক। যদিও বেজিংয়ের তরফেই অনুরোধ এসেছিল বলে পাল্টা দাবি করে দিল্লি। তার পরই চিনা মানচিত্রে অরুণাচল এবং আকসাই চিনের অন্তর্ভুক্তি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। তার পরই জিনপিং দিল্লি আসার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ান বলে খবর।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও জি২০ সম্মেলনে আসার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁ, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইউল যদিও উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু চিনপিংয়ের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকে মোটেই ভাল ভাবে দেখছে না দিল্লি।

গত তিন বছর ধরে চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে  সংঘাত চলছে ভারতের। তার পরেও, সম্প্রতি BRCIS সম্মেলনে সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে বার্তা দিয়েছিল ভারত। তার ঠিক পর পরই অরুণাচল এবং আকসাই চিনকে মানচিত্রে সংযুক্ত করে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করা এবং সর্বোপরি জি২০ সম্মেলন থেকে চিনপিংয়ের নাম তুলে নেওয়া, সংঘাত চালিয়ে যাওয়ারই ইঙ্গিত বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।

(Feed Source: abplive.com)