আগামী ৬ অক্টোবর ফের সূর্যাস্ত ঘটছে চাঁদে। তত দিন পর্যন্ত ‘বিক্রম’ এবং ‘প্রজ্ঞানে’র ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা চলবে। হিমশীতল পরিবেশে শক্তিক্ষয়,বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতির জেরেই তাদের ঘুম ভাঙছে না বলে মনে করছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। তবে শুধুমাত্র ‘বিক্রম’ এবং ‘প্রজ্ঞানে’র ঘুম ভাঙার অপেক্ষাতেই বসে নেই তাঁরা। এবার শুক্রগ্রহ এবং সৌরজগতের বাইরে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিমধ্যেই ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। পাশাপাশি সৌরযান Aditya-L1-ও এগিয়ে চলেছে নিজের লক্ষ্যে। এবার সৌরজগতের উজ্জ্বলতম গ্রহ শুক্রের উদ্দেশে অভিযান শুরু হতে চলেছে। ISRO প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, একাধিক অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তবে শুক্রগ্রহে পৌঁছনোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়ে গিয়েছে পেলোড-ও। পৃথিবীর সঙ্গে শুক্রের মিল অনেক। সেই কারণেই পড়শি গ্রহকে বেছে নেওয়া হয়েছে পরবর্তী অভিযানের জন্য।
শুক্রগ্রহ অভিযান নিয়ে সোমনাথের যুক্তি, শুক্রের বায়ুমণ্ডলের চাপ পৃথিবীর তুলনায় ১০০ গুণ বেশি। এর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। অ্যাসিড উপাদান মিশে রয়েছে শুক্রের ঘন মেঘে। যে কারণে শুক্রের মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো যায় না। পৃথিবী এবং শুক্র শুধুমাত্র পড়শিই নয়, দুই গ্রহের সৃষ্টিও প্রায় একই সময়ে। তার পরও পৃথিবীতে প্রাণ ধারণের উপযুক্ত পরিবেশ থাকলেও, শুক্রে কেন নেই, এই প্রশ্ন আজকের নয়। তার উত্তর পেতে চায় ISRO-ও।
তবে শুধুমাত্র শুক্রগ্রহই নয়, আমাদের সৌরজগতের বাইরে যে সমস্ত গ্রহ রয়েছে, যারা সূর্যেরই মতো অন্য কোনও নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে, তাদের নিয়েও পরিকল্পনা চলছে ISRO-তে। তার জন্য ExoWorlds অভিযানে আগ্রহী ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এর আওতায় সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলিতে প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে। ISRO প্রধান সোমনাথ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েশো গ্রহ প্রাণধারণের উপযুক্ত হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুমোদন মেলেনি। এর পাশাপাশি, মহাশূন্যে মৃত নক্ষত্রগুলির উপর নজরদারি চালাতে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই রওনা দেবে ISRO-র XPoSat মহাকাশযান। কৃষ্ণগহ্বরের উৎস নিয়ে গবেষণা চালাবে সেটি।
(Feed Source: abplive.com)