‘২ বছর কমার্শিয়াল ছবি করিনি, সবাই ভেবেছিল প্রসেনজিতের কেরিয়ার শেষ’

‘২ বছর কমার্শিয়াল ছবি করিনি, সবাই ভেবেছিল প্রসেনজিতের কেরিয়ার শেষ’

কলকাতা: শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan), সানি দেওল (Sunny Deol), আমি… ভেবে দেখুন, এখন কিন্তু ষাটোর্ধ্বরাই বক্সঅফিসে বাজিমাৎ করছে। কথাটা বলেই স্বভাবচিত হাসিটা হাসলেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। ‘দশম অবতার’ (Dawshom Awbotaar)-এর সাফল্যে, ‘যিনি ভীষণ ভীষণ খুশি।’ এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে অভিনেতা শেয়ার করে নিলেন সেই উচ্ছ্বাস।

কেরিয়ারে ভাল-খারাপ সময় প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরই আসে। ছবির সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে প্রসেনজিৎ যাঁর উদাহরণ দিলেন, কেরিয়ারের খারাপ সময় দেখেছেন তিনিও। শাহরুখ খান। একের পর এক ছবির ব্যর্থতা হতাশ করেছিল খোদ শাহরুখ খানকেও। বিকল্প পেশার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি, রান্না শিখেছিলেন। প্রসেনজিতের কেরিয়ারে কী কখনও এমন কঠিন সময় গিয়েছে? অভিনেতা বলছেন, ‘যে কোনও সফল অভিনেতার এমন কেরিয়ার নেই, ৪০ বছরে যাঁর প্রত্যেকটা ছবি ভাল চলেছে। এটা অসম্ভব। বিষয়টা অনেকটা ক্রিকেটের মতো। প্রত্যেক ক্রিকেটারের থেকে, প্রত্যেক ম্যাচেই তো আমাদের সেঞ্চুরির প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু সেটা কি সম্ভব? মাঝে মাঝেই তো আমায় এমন সময় আসে, যখন মানুষ বলেন, প্রসেনজিৎকে আর কত দেখব? তখনই আমি একটা ‘চোখের বালি’ করি, একটা ‘অটোগ্রাফ’ করি, একটা ‘দশম অবতার’ করি। এর আগে ‘শ্বশুড়বাড়ি জিন্দাবাদ’-এর মতো ছবিও করেছি। নতুন প্রজন্ম আসবে.. তবে তাদের কারও সঙ্গে আমার কোনও প্রতিযোগিতা নেই। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার কাজটাকে এতটাই পরিণত করে তুলেছি, এখন আমায় কারও সঙ্গে তুলনাই করা যায় না। একসময় আমি শুধু কমার্শিয়াল ছবি করতাম। জানতাম, আমি পর্দায় এলেই হাততালি পড়বে। তারপরে আমি যখন মাল্টিপ্লেক্সের ছবি করলাম, বুঝলাম ছবির ধরণও বদলাবে, চরিত্রায়ন পালটাবে। এটা করতে গিয়ে আমারও কেরিয়ারে এমন সময় গিয়েছে যখন ২ বছর আমায় কেউ কমার্শিয়াল ছবিতে নেয়নি। কিন্তু তখন আমি ২টো বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ছবিতে অভিনয় করেছি। টরেন্টো ফেস্টিভ্যালে আমার ছবি মনোনীত হয়েছে, রেজ কার্পেটে গিয়েছি। ‘মনের মানুষ’ যখন করেছি, তখন জানতাম না সুপারহিট হবে। আমি কেবল নিজেকে আবিষ্কার করতেই ছবিটায় অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু দর্শকদের অসম্ভব ভাল লেগে যায়। যখন ২ বছর কমার্শিয়াল ছবি করিনি, সবাই ভেবেছিল প্রসেনজিতের কেরিয়ার শেষ। তারপরে আমি একটা ‘অটোগ্রাফ’ নিয়ে ফিরে এসেছি। এটা প্রত্যেকদিনের লড়াই। লম্বা কেরিয়ারে ওপর নিচ হবে না এটা অসম্ভব। ছোট ছোট কালভার্টের মতো বাধাগুলোকে পেরিয়ে যেতে হবে। যদি তুমি হাল ছেড়ে দাও, তাহলে সরস্বতী ঠাকুর রাগ করবেন।’

(Feed Source: abplive.com)