হুইলচেয়ারে কাটতে পারত সারা জীবন! জন্মদিনে হৃতিক রোশনের অজানা গল্প

হুইলচেয়ারে কাটতে পারত সারা জীবন! জন্মদিনে হৃতিক রোশনের অজানা গল্প

কলকাতা: সব হিরেই কি সৃষ্টিলগ্ন থেকে নিখুঁত থাকে? বরং অনেক ঘষামাজার পর সে চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া আকৃতি পায়। জৌলুস বাড়ে।

হৃতিক রোশন (Hrithik Roshan) যেমন। বলিউডের হার্টথ্রব। কহো না প্যায়ার হ্যায় দিয়ে নায়ক জীবনের শুরু। তারপর থেকে একের পর এক বক্স অফিস কাঁপানো ছবি। কিন্তু জীবন হোক বা কেরিয়ার, হৃতিকের পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। সে যতই তিনি বিখ্যাত ও সফল পরিবারের ছেলে হোন না কেন।

১০ জানুয়ারি, বুধবার ৫০ পূর্ণ করলেন হৃতিক। জন্মদিনে ফিরে দেখা হৃতিকের জীবন।

ছোটবেলা উচ্চারণগত সমস্যা ছিল হৃতিকের। চারপাশে বন্ধুরা যখন অনর্গল কথা বলত, হৃতিককে তখন বাক্যগঠন করতেই সমস্যায় পড়তে হতো। শিশু হিসাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছেন না, এর চেয়ে কষ্টের শৈশব হয়তো হয় না। হৃতিকের নিজের কথায়, ‘স্কুলে যখন মৌখিক পরীক্ষা হতো, আমি কামাই করতাম। অসুস্থ হয়ে পড়তাম। হাত ভেঙে বসতাম। বা পেশির চোট লাগত।’

রীতিমতো স্পিচ থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল কিশোর হৃতিককে। লড়াইটা ছিল মানসিকও। এক সাক্ষাৎকারে হৃতিক জানিয়েছিলেন, রাঁধুনিকে নিজের আব্দারের পদ রাঁধতে বলার জন্য ৩৬ ঘণ্টা প্র্যাক্টিস করতে হয়েছিল তাঁকে।

তারপর হৃতিকের বয়স যখন ২১, ধরা পড়ল আর এক বিরল রোগ। জানা গেল, স্কোলিওসিস (Scoliosis) রোগে আক্রান্ত তিনি। যা আসলে মেরুদণ্ডের বেঁকে যাওয়া। তাঁকে বলা হয়েছিল, অভিনয়কে কোনও মতেই পেশা করা চলবে না। এমনকী, বাকি জীবন হুইলচেয়ারে বসে কাটানোর মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল।

এরপর ২০১০। ফের দুর্ভাগ্য তাড়া করে বেড়াল অভিনেতাকে। হাঁটুতে গুরুতর চোট। তাঁর বাঁ হাঁটুর অবস্থা এতটাই খারাপ যে, বয়স্করাও সম্ভবত তাঁর চেয়ে ভাল থাকেন। চিকিৎসকেরা তো ভয় পেয়েছিলেন যে, এক বছরও হাঁটু টিকলে হয়।

জুলাই, ২০১৩। ফের বিপত্তি। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধে অভিনেতার। অস্ত্রোপচার করাতে হয়। চিকিৎসকেরা সেবারও জানিয়েছিলেন, সেরে ওঠা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। অস্ত্রোপচারও বেশ জটিল। এমনকী, রয়েছে মৃত্যভয়ও।

তবু সব কিছু জয় করে এগিয়ে গিয়েছেন হৃতিক। কহো না প্যায়ার হ্যায় দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করেছিলেন। তারপর একে একে কোই মিল গয়া, কৃষ, ধুম টুর মতো বক্স অফিস কাঁপানো একের পর এক ছবি। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে তাঁর ছবি ফাইটার। প্রথমবার পর্দায় হৃতিক-দীপিকা পাড়ুকোন জুটি দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সিনেপ্রেমীরা।

(Feed Source: abplive.com)