শনিবার I.N.D.I.A শিবিরের ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী, আম আদমি পার্টির অরিবন্দ কেজরিওয়াল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির শরদ পওয়ার, DMK-র এমকে স্ট্যালিন, CPM-এর সীতারাম ইয়েচুরি। এদিনের ভার্চুয়ালের বৈঠকে তৃণমূল যোগ দেয়নি বলে খবর। সেখানে খড়্গের নামেই সকলে সম্মতি দেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও ঘোষণা হয়নি। (Lok Sabha Elections 2024) খড়্গে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি না, সেই নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
এর আগে, সশরীরে I.N.D.I.A জোটের নেতা-নেত্রীদের নিয়ে যে চতুর্থ বৈঠক হয়, তাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে খড়্গের নেতৃত্বে, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে নির্বাচনের ময়দানে নামার প্রস্তাব দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। সেই সময়ই মমতার প্রস্তাবে সায় দেন কেজরিওয়াল এবং স্ট্যালিন। সেই সময় খড়্গে যদিও প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন। তিনি পদ চান না, বলে জানিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, আগে জেতা হোক, তার পর সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান।
তবে এদিনের বৈঠকে খড়্গের নামেই সকলে সম্মতি জানান বলে খবর। খড়্গের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সেই সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা সংযুক্ত জনতা দলের নেতা নীতীশ কুমার ক্ষুণ্ণ হন বলেও শোনা যায়। এদিন নীতীশকে জোটের আহ্বায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, এদিন নীতীশ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। জানেন, পদ নিয়ে কোনও লোভ নেই তাঁর। কংগ্রেস থেকেই কারও দায়িত্ব নেওয়া উচিত। তবে সকল সম্মতি দিলে বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন নীতীশ।
তবে খড়্গের নামে সকলের সায় মিললেও, এখনও খাতায়-কলমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সূত্রের খবর, মমতা এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের সঙ্গে আলোচনা করেই নাম ঘোষণা করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মমতা, অখিলেশ এবং নীতীশের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। এদিনের বৈঠকে যোগ দেন ১৪টি বিরোধী দলের নেতা। বৈঠকে যোগ দেননি শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী)-র উদ্ধব ঠাকরেও। অখিলেশও বৈঠকে যোগ দেননি।
I.N.D.I.A জোটের এই বৈঠক নিয়ে যদিও কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর বক্তব্য, “এদের না আছে নেতা, না আছে নীতী। বাংলায় চৌধুরী সাহেব এক কথা বলেন, মমতাদি আর এক কথা বলেন। এই অহঙ্কারী জোট চলবে না।” এর পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী জানান, “I.N.D.I.A জোটকে ভয় পেয়েই এসব বলছে বিজেপি।” তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর মতে, ক্ষুধাসূচকে ভারত কোথায়, মুদ্রাস্ফীতি কোন পর্যায়ে, এসব নিয়ে আলোচনা এড়াতেই বিরোধীদের নিশানা করছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
(Feed Source: abplive.com)