ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পেলেন আনোয়ার! নামতে পারেন রবিবার কেরলের বিপক্ষে…

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পেলেন আনোয়ার! নামতে পারেন রবিবার কেরলের বিপক্ষে…

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে লালহলুদ জার্সিতে খেলতে চলেছেন জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার। শেষ দেড় মাস ধরে প্রতিনিয়ত জাতীয় দলের এই ফুটবলারকে নিয়ে বিতর্ক চলেছে। ব্যক্তিগতভাবে তিনি ইস্টবেঙ্গলে খেলতে চেয়েছিলেন, তাই মোহনবাগান ছাড়েন। পাল্টা দলের ক্ষতি হওয়ায় মোহনবাগানও আবেদন জানিয়েছিল আনোয়ারের বিরুদ্ধে শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণের। সেই মতো এআইএফএফ প্রথমে মোহনবাগানের এনওসি আনোয়ারকে দিয়ে দেয়।

পরে তাঁকে নির্বাসিত করে অবৈধভাবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের জন্য। পাশাপাশি বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয় তাঁর বর্তমান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিকে। এআইএফএফ-এর প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যায় ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি এফসি। সেখান থেকে ফের এআইএফএফের কোর্টেই বল ঠেলে আদালত। সেখানে এসেই শেষ পর্যন্ত সুরাহা হল, সুফল পেলেন আনোয়ার।

আনোয়ার আলিকে বৃহস্পতিবারই এআইএফএফের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি এনওসি দিয়ে দিল। মনে করা হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই মামলায় বাকি তিনটি ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এআইএফএফের পিএসসি। যদিও মোহনবাগান এই সিদ্ধান্তের পর কি করবে, তা এখনই জানা যায়নি।

নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়ে যাওয়ায় আইএসএলে আনোয়ারের খেলার পক্ষে আর কোনও বাধাই রইল না। ফলে রবিবারই তিনি আইএসএলে খেলতে নামতে চলেছেন। আগেই কার্লেস কুয়াদ্রাত তাঁকে দলে রেখেই স্ট্র্যাটেজি করেছিলেন। কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচের আগেই আনোয়ারের বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যাওয়ায় রবিবারই তাঁকে খেলাতে পারবেন কুয়াদ্রাত। সেক্ষেত্রে সেদিনই লালহলুদ জার্সিতে কেরলের জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে অভিষেক হবে জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডারের।

হনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে আনোয়ার আলি আসতেই কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবকে খোঁচা দিলেন দিল্লি এফসির কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখলেন, ‘আনোয়ার তাঁর ঘর ছেড়ে গাড়ি চেপে নিজের প্রিয় ক্লাবের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এখন থেকে আনোয়ার ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ার, আর খেলার জন্য প্রস্তুত। আর কোনও নির্বাসন বা জরিমানা আনোয়ার বা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বা দিল্লি এফসির ওপর রইল না। আর বিশেষ বার্তা আমাদের নিন্দুক এবং বিশেষ করে জলহস্তির জন্য। আমায় নির্বাসিত করার বিষয় কি হল? আর কে আসল ডন সেটা বোঝা গেল। সমর্থকদের ধন্যবাদ এই লড়াইয়ে আমার সঙ্গে থাকার জন্য। কিন্তু এই লড়াই দীর্ঘ তাই একসঙ্গে আমাদের থাকতে হবে ’।

(Feed Source: hindustantimes.com)