ঠিকমতো পেট পরিষ্কার না হলেই ইসবগুলের শরণাপন্ন হতেই হয়। এটি এমন একটি প্রাকৃতিক ওষুধ, যা নিমেষে করে দেয় পেট সাফাই। তবে শুধু পেট পরিষ্কার নয়, ইসবগুলে রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যকর গুন। আপনি হয়তো জানেন না, প্রতিদিন গরম জলে ইসবগুল (Isabgol) মিশিয়ে খেলে কোলেস্টেরল কমাতে আর আপনাকে কোনও ওষুধের শরণাপন্ন হতে হবে না।
ইসবগুলের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ উপাদান
এক টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩% ক্যালোরি, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন। তবে এর মধ্যে থাকে না কোনও প্রকার ফ্যাট তাই এটি খেলে শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দেয় না।
ইসবগুল খাওয়ার নিয়ম
প্রত্যেকদিন ১ টেবিল চামচ করে দিনে ৩ বার খেতে পারেন ইসবগুল। তবে গরম জলে গুলে খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাবেন আপনি। অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রাতেও ইসবগুল খেয়ে থাকেন। তবে যারা প্রথম প্রথম ইসবগুল খাবেন, তাঁরা দিনে তিনবার খাবেন না। প্রথমে একবার খাবেন, ধীরে ধীরে তারপর খাওয়া শুরু করবেন বেশি।
ইসবগুল কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল
কোলেস্টেরল প্রধানত দু’রকমের হয়। একটি ভালো কোলেস্টেরল এবং একটি খারাপ। এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রনে না রাখা যায় তাহলে হতে পারে বিপদ। ইসবগুল খেলে মানুষের অন্ত্রে একটি পাতলা স্তর তৈরি হয়, যার ফলে শরীর খারাপ কোলেস্টেরল শোষণ করতে পারে না। খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যায় মল দিয়ে।
সম্প্রতি গবেষণা থেকে জানা গেছে, যে সমস্ত মানুষ ওষুধ খান তাঁদের শরীর থেকে যত পরিমাণ খারাপ কোলেস্টেরল কমেছে তার থেকে অনেক তাড়াতাড়ি খারাপ কোলেস্টরেল কমে গেছে যারা প্রতিদিন ইসবগুল খান। যেখানে ওষুধ খাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে ৮.৭ শতাংশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমেছে, সেখানে ইসবগুল খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্র কমেছে ৯.৭ শতাংশ।
ইসবগুলের অন্যান্য উপকার
যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা প্রত্যেকদিন ইসবগুল খেতে পারেন। এছাড়া দইয়ের সঙ্গে ইসবগুল মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়ার হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে অথবা মলকে তরল করার জন্য ইসবগুলের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া ইসবগুলে থাকা ফাইবার হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
(Feed Source: hindustantimes.com)