দই ছাড়া থাকতেই পারেন না? এই বাদলার মরশুমে ‘এইভাবে’ খান দই! নইলে কিন্তু বড় বিপদ

দই ছাড়া থাকতেই পারেন না? এই বাদলার মরশুমে ‘এইভাবে’ খান দই! নইলে কিন্তু বড় বিপদ

#কলকাতা : বাঙালি মানেই প্রতিদিন দই। সে দই ভাত হোক কিংবা লস্যি, বাটারমিল্ক অথবা ডেজার্ট। পাতে চাই-ই চাই। প্রতিদিন দই খেলে হজম ভালো হয়। অন্ত্র ভালো থাকে এবং বিপাক উন্নত হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, সঠিক ভাবে দই না খেলে ভালোর থেকে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরম কিংবা আর্দ্র বা বর্ষাকালে প্রতিদিন দই খাওয়া উচিত। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি মেনে।

দই খাওয়া নিয়ে আয়ুর্বেদ কী বলছে: আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, বর্ষাকালে দই খাওয়া ঠিক নয়। কারণ ঋতু পরিবর্তনের ফলে বাত, পিত্ত, কফ দোষের উপর প্রভাব পড়তে পারে। বর্ষায় বিশেষ করে বাত এবং পিত্ত দোষ বেড়ে যায়। এতে শরীর দুর্বল হয়। ফলে বিভিন্ন মরসুমি রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়াও এই ঋতুতে দই খেলে শরীরে শ্লেষ্মা তৈরি হয়, যা শরীরে অলসতা সৃষ্টি করে বলে মনে করা হয়। এই ঋতুতে কীভাবে দই খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে এবং দই খাওয়ার সঠিক উপায় কী তা এখানে দেওয়া হল।

ব্যথা বাড়ায়: জয়েন্টের ব্যথা এবং আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বর্ষাকালে দই খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। দই শরীরে প্রদাহ এবং শ্লেষ্মা উৎপাদন বাড়ায় বলে বিশ্বাস করা হয়, যা এই অবস্থাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। যাই হোক, এই পুরনো বিশ্বাসকে সমর্থন করার জন্য কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

ঠান্ডা এবং গলা ব্যথা বাড়ায়: যারা গলা ব্যথা, সর্দি, কাশিতে ভুগছেন, তাঁরা দই খেলে অবস্থার বাড়াবাড়ি হতে পারে। দই প্রকৃতিতে ঠান্ডা। তাই এমনটা হয়। এই কারণেই আয়ুর্বেদে বর্ষাকালে দই খেতে বারণ করা হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা সাইনাস, কনজেশন এবং ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য এটা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।

দই খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি: দই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু সঠিক উপায়ে না খেলেই যত সমস্যা। এর সঙ্গে যদি ভুল খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া হয় তাহলে বিপদ আরও বাড়বে। এই কারণেই দইয়ের সঙ্গে দু’টি প্রোটিন বা সাইট্রিক খাবার খেতে নিষেধ করা হয়েছে। এতে অম্বল, অ্যাসিড তো বটেই আলসার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

যদি এরপরেও কেউ বর্ষায় দই খেতে চান তাহলে এর সঙ্গে এক চিমটি ভাজা জিরে গুঁড়ো, কালো মরিচ এবং কালো নুন যোগ করতে হবে। এটা দইয়ের ঠান্ডা প্রকৃতিতে ভারসাম্য আনে। তাছাড়া এটা হজম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য গঠনেও সাহায্য করে। তাছাড়া বর্ষাকালে সবসময় তাজা দই খেতে হবে।ঠান্ডা প্রকৃতির ভারসাম্য আনতে এর সঙ্গে বাদাম বা শুকনো ফল খাওয়া যায়।

Published by:Sanjukta Sarkar

(Source: news18.com)